বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৭ November ২০১৮

ওয়াইফাইর তুলনায় মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বেশি ৩৩ দেশে


ধারণা করা হয়, ওয়াইফাই ইন্টারনেটের উচ্চগতির কারণে একসময় সেকেলে হয়ে যাবে মোবাইল ইন্টারনেট। কিন্তু ৩৩টি দেশের ক্ষেত্রে এ কথাটি প্রযোজ্য নয় বলে মনে করে ওপেন সিগন্যাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এক জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ দেশগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেটই বরং ওয়াইফাইর তুলনায় দ্রুতগতির। এ তালিকায় আফ্রিকার দেশ যেমন আছে, তেমনি আছে ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশও।

হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ যে দেশগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বেশি, সেসব দেশে দ্রুতগতির ওয়াইফাইও পাওয়া যায়। তবে কিছু দেশে উন্নত ফোরজি নেটওয়ার্কের কারণে উচ্চগতির মোবাইল ইন্টারনেট মিলছে, যা ক্ষেত্রবিশেষে ওয়াইফাইর থেকেও উচ্চগতির। লেবাননের কথাই ধরা যাক। দেশটিতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে ওয়াইফাইর তুলনায় অন্তত প্রতি সেকেন্ডে ২৫ মেগাবিট বেশি গতি পাওয়া যায় বলে মনে করছে ওপেন সিগন্যাল।

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় ওয়াইফাই ইন্টারনেটের গড় গতি প্রতি সেকেন্ডে ২১ দশমিক ৬ মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস)। অথচ মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ৩৪ দশমিক ৬ মেগাবিট পার সেকেন্ড। অর্থাৎ মোবাইল ইন্টারনেটে ১৩ এমবিপিএস বেশি গতি পাওয়া যাচ্ছে। শুধু অস্ট্রেলিয়া কিংবা লেবানন নয়, কাতার, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশেও একই অবস্থা।

শিগগিরই চালু হচ্ছে ফাইভজি নেটওয়ার্ক। এ নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি চালু হলে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি আরো বাড়বে। তখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটকেও ছাপিয়ে যাবে মোবাইল ইন্টারনেট।

আর তাই ওয়াইফাই নিয়ে সবার মধ্যে যে ধারণা রয়েছে, এ তথ্যের ভিত্তিতে তাতে পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করছে সংস্থাটি। ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও এ পরামর্শ দিয়েছে ওপেন সিগন্যাল।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১