বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৪ November ২০১৮

বিআইডব্লিউটিএ’র গুদামঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু


নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে শীতলক্ষ্যার তীরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর গুদামে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে নৌ-মন্ত্রনালয় ও বিআইডব্লিউটিএ থেকে গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি। আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল অবধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করছেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নিরীক্ষা) মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক জানান, ঘটনাটি নাশকতা নাকি সাবোটাজ নাকি নিছক দুর্ঘটনা সেটি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ড্রেজার বিআইডব্লিউটিএ বুঝে পেয়েছে। বাকি ড্রেজারগুলো এখনো বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে নির্মাণাধীন রয়েছে। যেগুলো পর্যায়ক্রমে বিআইডব্লিউটিএ’ কাছে আসবে। ওইসব ড্রেজারগুলোর জন্য ইউরোপের দেশ ইটালী থেকে আধুনিক মান সম্পন্ন ড্রেজারের পাইপগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল। যেগুলো বিআইডব্লিউটিএ’র গুদামসংলগ্ন খালি স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। আগুনে বিপুল পরিমাণ পাইপ পুড়ে গেছে।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যা তীরে বিআইডব্লিউটিএ’র গোডাউনের বাউন্ডারী দেয়াল সংলগ্ন পূর্ব দক্ষিণ কোনে খালি জায়গায় স্তূপীকৃত করে রাখা প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরী পাইপে প্রথমে আগুন ধরে যায়। যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পূর্বে নির্মিত বিআইডব্লিউটিএ’র গোডাউনের বাউন্ডারী দেয়াল ছিল অরক্ষিত। যে স্থানে প্রথম আগুনের সূত্রপাত তার পাশেই বাউন্ডারী দেয়ালের একটি অংশ ছিল ভাঙাচোরা যেখান দিয়ে অনায়াসেই প্রবেশ করা যায়। এছাড়া প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরী পাইপগুলো স্তূপীকৃত করে রাখা হয়েছে নষ্ট হয়ে যাওয়া সারের উপর। ওই সারগুলো ১৫ বছর আগে একটি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে আমদানী করলেও সেগুলো আর গোডাউন থেকে না নেয়ায় ওই সারগুলো খালি স্থানেই ফেলে রাখা হয়েছিল।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বিআইডব্লিউটিএ’র ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা তদন্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

বিআইডব্লিউটিএ’র গোডাউনের ইনচার্জ সাহাবুদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার পরপরই নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আর শনিবার সকাল থেকে বিকেল অবধি ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছেন বিআইডব্লিউটিএ’র ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি। এর পাশাপাশি কি পরিমাণ ফ্লোটিং বা শ্যোর পাইপ ও ফ্লোটার পাইপ পুড়েছে তা নিরূপন করার কাজ চলছে।

এছাড়াও সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, সদস্য (প্রকৌশল) গোলাম মোস্তফা, সচিব কাজী ওয়াকিল নেওয়াজসহ বিআইডব্লিউটিএ’র উর্ধ্বতনরা। এর আগে শুক্রবার ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে নৌ-মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি।

প্রসঙ্গত শুক্রবার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-মন্ত্রনালয় থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুটি কমিটিকেই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নৌ-মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: শাহাদাৎ হোসেনকে আহবায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নিরীক্ষা) মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১