বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৪ November ২০১৮

সেন্টমার্টিনে গিয়ে কী করবেন


যদি সেন্টমার্টিনে রাত কাটাতে চান, তাহলে এবারই শেষ সুযোগ। অদূর ভবিষ্যতে এ সুযোগ নাও পেতে পারেন। কারণ, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী বছর থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাত কাটানোর সুযোগ দেওয়া হবে না। সেন্টমার্টিনের পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়ায় এ সিদ্ধান্ত। সুতরাং, দারুণ এ দ্বীপে রাত যাপনের সুযোগ আর নাও পেতে পারেন।

অক্টোবর থেকে মার্চ এই পাঁচ মাস সাধারণত সেন্টমার্টিন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। প্রচুর টুরিস্ট এবং ট্রাভেলার সেখানে যাচ্ছেন প্রতিদিন। সেন্টমার্টিন আইল্যান্ড বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবালদ্বীপ। এটি পৃথিবীর খুব অল্পসংখ্যক প্রবালদ্বীপের একটি। এ কারণেই এটি অনন্য। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত দ্বীপটি। যেতে হলে তাই টেকনাফ থেকে জাহাজ/ট্রলার ছাড়া কোনো উপায় নেই।

সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে অবশ্যই দুই রাতের ট্যুর প্ল্যান করা উচিত। কারণ প্রথম দিন যেতে যেতেই দুপুর হয়ে যাবে। তড়িঘড়ি করে বিকালটুকু ঘুরে পরদিনই আবার ফেরত আসতে নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগবে না। দুই রাত প্ল্যান করলে ধীরেসুস্থে পুরোটা ঘুরে দেখা যাবে।

ঢাকা থেকে শ্যামলী, হানিফ, সেন্টমার্টিন পরিবহনসহ অনেক বাস আছে, যেগুলো টেকনাফ যায় এই মৌসুমে। নিজের পছন্দমতো বাস পছন্দ করে এক সপ্তাহ আগেই টিকেট করে রাখলে ভালো। কারণ এই সময়ে অনেক চাপ থাকে। সন্ধ্যা ৬টা-৭টার গাড়ি ঠিক করুন। পরদিন ৯টায় শিপ।

সকালে ঘাটে নেমে নাশতা করার হোটেল পাবেন টেকনাফেই। নাশতা করে নিন, কারণ সেন্টমার্টিন পৌঁছতে বাজবে দুপুর ১টা। নাশতা সেরে শিপে উঠে পড়ুন। সেন্টমার্টিন পৌঁছে হোটেলে যেতে ভ্যান নিতে পারেন, তবে দাম অনেক চড়া হবে। কারণ এই আনা-নেওয়াটাই তাদের ব্যবসা। এ ছাড়া অন্য সময় ভ্যান বিশেষ কাজে লাগে না। হোটেল/রিসোর্টে গিয়ে সমুদ্রে নামতে পারেন বা ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকালে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারেন। রাতে রিসোর্টে বলে রাখলে বার-বি-কিউ ব্যবস্থা করবে তারা।

পরদিন নাশতা সেরে সকালে ট্রলারে চলে যান ছেঁড়াদ্বীপ। যাওয়ার ট্রলার পাবেন অনেক। দরদাম ও বাছাই করে একটিতে উঠে পড়ুন। ১০-১১টার মধ্যে ফেরত আসুন, তারপর হাল্কা খেয়ে একটা সাইকেল ভাড়া করে পুরো সেন্টমার্টিন চক্কর দিতে পারেন যদি এনার্জি থাকে। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে মোটামুটি ঘোরা শেষ হয়ে যাবে। তবে অভিজ্ঞতা হবে অসাধারণ। কারণ অনেক বিচ পাবেন যেখানে কোনো মানুষ যায় না। হোটেলে ফেরত এসে লাঞ্চ সেরে বিকালে আবারো সূর্যাস্ত দেখে কাটাতে পারেন বা বাজারে যেতে পারেন। অনেক হোটেলে মাছ ফ্রাই করে দেয় পছন্দ করে দিলে, তবে সাবধান অনেক মাছই পচা থাকে অনেক সময়। অবশ্য মশলা মাখানো ছাড়া মাছ বাছাই করে দিলে ঠকবেন না।

শেষদিন ফিরতে হবে, তাই দূরের কোনো প্ল্যান করা যাবে না। সকালে বিচে দাপাদাপি করে কাটাতে পারেন। তারপর ১১-১২টায় লাঞ্চ সেরে ঘাটে চলে যান। যদিও জাহাজ ছাড়ে আরো দেরিতে, তবে অনেক ভিড় আর গ্যাঞ্জাম থেকে বাঁচতে আগেই চলে যাওয়া উচিত। সন্ধ্যার পরপরই শিপ পৌঁছাবে টেকনাফ ঘাটে। ঘাট থেকে নেমেই বাস কাউন্টার। তারপর সোজা গন্তব্য।

সেন্টমার্টিনে কী খাবেন

সমুদ্রে গেলে সাধারণত সি ফুড খাওয়াই উত্তম। সেন্টমার্টিন বাজারে, বিচের পাড়ে, যে রিসোর্ট/হোটেলে থাকবেন, যেখানেই সুযোগ পাবেন সামুদ্রিক মাছ ট্রাই করবেন। কোরাল বার বি কিউ, রূপচাদা, রেড স্ন্যাপার ইত্যাদি মাছ ট্রাই করবেন। সঙ্গে লইট্টা ফ্রাই, টুনা ফিশ যদি পান, তাহলে এগুলোও ট্রাই করবেন।

খরচাপাতি

সেন্টমার্টিনে দুই রাত থাকতে চাইলে খুব বেশি খরচ হবে না। যদি গ্রুপ ট্যুর হয়, তাহলে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে সব হয়ে যাবে। কাপল কিংবা একা হলে খরচটা একটু বেশি পড়বে। সেন্টমার্টিনে নানা ধরনের হোটেল, রিসোর্ট আছে। আগে থেকে বুক করে যাওয়াই উত্তম।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১