আপডেট : ২৩ November ২০১৮
এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অতিরিক্ত ফি আদায় কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতিবাদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুদকের কঠোর নির্দেশ কোনো কিছুই পরোয়া করছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনাকেও অমান্য করে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে তারা। প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। টেস্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ফরম পূরণ; নির্ধারিত সময় ছিল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এ ছাড়াও ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণের শেষ সময় ছিল গত ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিজ্ঞান বিভাগে চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ১ হাজার ৮০০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ১ হাজার ৬৮০ টাকা আর মানবিক বিভাগে চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ১ হাজার ৬৮০ টাকা। কিন্তু স্কুল ভেদে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ হাইস্কুলে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অভিভাবকদের অভিযোগ, চাহিদামতো অর্থ না দিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অশোভন আচরণ করছে। বাধ্য হয়ে বাড়তি ফি দিয়ে ফরম পূরণ করছেন তারা। বাড়তি ফি আদায়ের দৌরাত্ম্য চলছে বহুদিন থেকেই। বোর্ড ও কেন্দ্র ফির পাশাপাশি কোচিং ফি, মডেল টেস্ট ফি, বার্ষিক পরিবহন ফি, উন্নয়ন ফি, তিন মাসের অগ্রিম বেতন, পিকনিক ফি ইত্যাদি খাত দেখিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে। এই প্রবণতা আগে শহরের কিছু নামিদামি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন এ ব্যাধি ছড়িয়েছে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত। দেশের প্রায় সব অঞ্চল থেকেই বাড়তি ফি আদায়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ফরম পূরণে বাড়তি ফি আদায় না করার জন্য হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ফরম পূরণ বাবদ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। দুদক কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযোগ কেন্দ্র ১০৬-এ এবং ই-মেইলের মাধ্যমে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করলে তাদের কাছে প্রচুর অভিযোগ আসে। হাইকোর্ট থেকে রুল জারি করার পরও অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করেনি রাজধানীর স্কুলগুলো। এরপর অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি তদন্ত করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফতর ১১টি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ইতোমধ্যে দুদকও বিভিন্ন স্কুলে এই ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করছে। গত বুধবার যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলে অভিযান চালিয়ে ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে দুদক। আমরা চাই, স্কুলে ভর্তি এবং ফরম পূরণের বাণিজ্য বন্ধে সংশ্লিষ্টরা কঠোর পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১