আপডেট : ১৮ November ২০১৮
নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর একটি টিম আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ বিরল প্রজাতির ২টি টোকান পাখি ও একটি ইকলেকটাস প্যারোট পাখি। উদ্ধার করা দুইটি টোকান পাখির আনুমানিক মূল্য ৩০ লাখ ও ইকলেকটাস পাখির আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা। রাজধানীর উত্তরার আশকোনা এলাকায় গতকাল শনিবার এ অভিযান চালায় র্যাব। আজ রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি জসিমউদ্দিন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. জাহিদুল হাসান (৩২), খন্দকার বুলবুল ইসলাম (৩৪), রফিকুল ইসলাম (৪১) ও মো. মাসুদুর রহমান (২৯)। র্যাব জানায়, গত ১৪ জুন ফতুল্লা থানাধীন এলাকা হতে দুইটি চিতা বাঘসহ আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় র্যাবের অভিযানে তরিকুল ইসলাম গ্রেফতার হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে শনিবার চারজনকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ২টি বিরল প্রজাতির আমদানী নিষিদ্ধ টোকান পাখি ও ইকলেকটাস প্যারোট পাখিগুলো বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের কর্মকর্তার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক গাজীপুরে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই চারারকারী চক্র বিদেশ থেকে পশুপাখি আমদানির আড়ালে বিমানবন্দরের সিএ্যান্ডএফ এর সঙ্গে সংঘবদ্ধভাবে আমদানি নিষিদ্ধ বিরল প্রজাতির পশুপাখি আমদানি করে পাশের দেশে পাচার করে আসছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, গত ৮ মে যশোর থেকে উদ্ধার করা নয়টি জেব্রা গ্রেফতারকৃত রফিকের পরিচালিত সিএ্যান্ডএফ ‘মতিন কোঃ’ এর মাধ্যমে বিমানবন্দর থেকে ছাড় করা হয়েছিল। এই চক্র বিভিন্ন সময় সাদা সিংহ, বিদেশি বানর, চিতা বাঘ, জেব্রাসহ বিরল প্রজাতির মূল্যবান পাখি আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কৌশলে নিয়ে আসে এবং অধিক মূল্যে পাশের দেশ সমূহে পাচার করে দেয়।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১