আপডেট : ১৬ November ২০১৮
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় গাজা আরো পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে সরে গেছে। শক্তি আরো বাড়িয়ে রূপ নিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে সেটি আঘাত হানে ভারতের তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি ও অন্ধ্রপ্রদেশে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণ ভারতের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরেই ১০০ কিলোমিটার বেগের এই ঘূর্ণিঝড়ের তোড়ে উপড়ে গেছে অনেক গাছপালা, বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুতের সংযোগ। তবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য সেসব খবরে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় তিতলির আঘাতে অন্ধ্রপ্রদেশে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এক মাসের ব্যবধানের আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আতঙ্কিত রাজ্যবাসী। এ কারণেই ওই রাজ্যসহ তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরিতে জারি করা হয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। নেওয়া হয় বাড়তি প্রস্তুতি। দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোর সব স্কুল-কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীকে রাখা হয় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায়। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ দুর্বল হতে শুরু করবে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ সেটি আবার গভীর নিম্নচাপে পরণিত হবে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় গাজার কোনো প্রভাব না পড়লেও সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নন্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১