 
                        আপডেট : ১৫ November ২০১৮
 
                                
                                         নির্বাচন তিন সপ্তাহ পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। অন্যদিকে ডিসেম্বরের পর নির্বাচন অসম্ভব বলে ইসিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার বিকাল ও সন্ধ্যায় ইসির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে ফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়েছে। দুই দফা বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন- নির্বাচন পেছানো, না পেছানোর সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেবে ইসি।  ডিসেম্বরের পর নির্বাচন অসম্ভব- এইচটি ইমাম : গতকাল সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, নির্বাচন পেছানোর যে দাবি ফ্রন্ট করেছে তা যৌক্তিক নয়। ডিসেম্বরের পর নির্বাচন অসম্ভব। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা একদিকে সুষ্ঠু ভোট চাইবে, আরেক দিকে সহিংসতা করবে। এটা হতে পারে না। এইচটি ইমাম ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে ছিলেন মশিউর রহমান, ডা. দীপু মনি, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী প্রমুখ। জানা গেছে, ইসির সঙ্গে ফ্রন্টের বৈঠক পূর্বনির্ধারিত। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক তাৎক্ষণিক। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন- ইসিকে মির্জা ফখরুল : বিকালে ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বৈঠক শেষে কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন এক মাস পেছানোর বিষয়ে ফ্রন্ট যে অনুরোধ করেছে তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে ইসি। পরে ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিষয়টি ইসিকে জানানো হয়েছে। জবাবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার কথা বলেছে ইসি। এছাড়া নয়াপল্টনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে ইসি। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয় তা দেখার আশ্বাস দিয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিও ইসি দেখবে বলে জানায়। এছাড়া ফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিএনপি অফিসে হামলা, নির্বাচনকালীন সময়ে দলীয় ও বিতর্কিত রিটার্নিং কর্মকর্তা না রাখা, কেন্দ্রে কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ইভিএম না রাখা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ইসির অধীনে আনা, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া গায়েবি মামলা ও হয়রানি বন্ধে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া, এজেন্টদের হয়রানি না করা, ভোটকেন্দ্রে মিডিয়াকর্মীদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি ইসির কাছে জানানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ; কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার; জেএসডির আবদুল মালেক রতন, শহীদ উদ্দিন স্বপন; গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমদ, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু ও মোকাব্বির খান। আলোচনা করে নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি- সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ : জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন সভা করে নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, জানুয়ারিতে নির্বাচন হলে অনেক সমস্যা হবে, তবুও এ বিষয়ে কমিশন সভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হেলালুদ্দীন বলেন, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। তবে সেখানে গতকাল যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেটা কেন ঘটল তা কমিশন খতিয়ে দেখবে। ফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে ইসির পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। এছাড়া বৈঠকে অংশ নেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১