আপডেট : ১৪ November ২০১৮
অনাস্থা প্রস্তাবে পরাজিত হলেন শ্রীলঙ্কার মাহিন্দা রাজাপক্ষে। দ্বীপরাষ্ট্রের আইনসভা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘেকেই স্বীকৃতি দিল। বুধবার সে দেশের পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে এই সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘেকে বরখাস্ত করে নিজের পছন্দের মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর পর থেকেই শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক সঙ্কট। শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। কিন্তু এবার রাজাপক্ষের বিরুদ্ধেই শ্রীলঙ্কার সংসদে আনা হল অনাস্থা প্রস্তাব। প্রেসিডেন্ট তাকে সমর্থন জানানোর পরেও রাজাপক্ষেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই পিছিয়ে গেলেন তিনি। অধ্যক্ষ কারু জয়সূর্য সমর্থন করেছিলেন রনিল বিক্রমসিংঘেকে। ২২৫ জনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের তরফেও একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন সঙ্গে থাকায় প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়তে নারাজ ছিলেন বিক্রমসিংঘে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট বাসস্থান থেকেই তাকে বের করতে পারেননি প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা। তবে বিক্রমসিংঘেই যে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এমনটাও নয়। রাজাপক্ষে মাত্র ৭২টি আসন পেয়ে তার বিধায়ক পুত্র নামালের সঙ্গে কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান। শুরু হয় বিতণ্ডা।তার আগেই যদিও অধ্যক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। অধ্যক্ষ অন্যায়ভাবে ভোটাভুটি করেছেন বলে রাজাপক্ষের সমর্থিত মন্ত্রীরা কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান। পার্লামেন্ট না ভেঙে ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে শ্রীলঙ্কাকে চাপ দিয়েছিল ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চীনের মদতেই এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মৈত্রীপালা, এমনটাই ধারণা তাদের। কারণ, নবনিযুক্ত রাজাপক্ষে সরকারকে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ স্বীকৃতি না দিলেও আগ বাড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল বেইজিং।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১