আপডেট : ১৩ November ২০১৮
ঠাকুরগাঁওয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভারী শিল্প-কারখানা রেশম কারখানাটি ১৫ বছর ধরে বন্ধ। ক্রমাগত লোকসানের অজুহাতে এটি ২০০২ সালে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে ১৩৪ শ্রমিক ও ১০ হাজার রেশমচাষি বেকার হয়ে পড়েছে। কয়েক কোটি টাকায় বিএমআরই করার পরও কারখানাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি মরীচিকা ধরে নষ্ট হচ্ছে। রেশম চাষ লাভজনক একটি পণ্য। বছরে কমপক্ষে পাঁচবার রেশম চাষ করা যায়। দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা স্বল্প পুঁজিতে রেশম চাষ ও বিপণন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। এ অবস্থায় ১৯৭৭-৭৮ সালে আরডিআরএস নামে একটি বেসরকারি সংস্থা ঠাকুরগাঁওয়ের দুরামারি কান্দর নামক জায়গায় (বর্তমানে বিসিক শিল্পনগরী) এই রেশম কারখানাটি স্থাপন করে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ১৯৮১ সালে এই কারখানাটি রেশম বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ধীরে ধীরে ১০ হাজার চাষি রেশম গুটি উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। পরে টানা ২৬ বছরে কারখানাটি ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা লোকসান দেয়। এ অবস্থায় লোকসানের অজুহাতে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর মিলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে কারখানায় কর্মরত ১৩৪ শ্রমিক ও ১০ হাজার রেশমচাষি পরিবার বেকার হয়ে পড়ে। কারখানাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ তুঁত গাছ কেটে ফেলা হয়। কিছু রেশমচাষি তাদের পেশা কোনোমতে আঁকড়ে ধরে আছে। কিন্তু তাদের সমস্যার শেষ নেই। বর্তমানে ব্যাপক তুঁত গাছ না থাকায় এবং ঘরের অভাবে চাষিরা গুটি উৎপাদন করতে পারছেন না। তাই ঠাকুরগাঁওয়ে দ্বিতীয় ভারী শিল্প-কারখানা হিসেবে এই রেশম কারখানাটি চালু করার জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১