বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৬ November ২০১৮

তাঁত শিল্পে সমৃদ্ধ জেলা

তাঁত শিল্পে সমৃদ্ধ জেলা পাবনা ছবি : বাংলাদেশের খবর


বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের পাবনার সাঁথিয়া বেসিক সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, পাবনা তাঁতসমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত। জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর ও বেড়া উপজেলায় তাঁতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০০৩ সালের তাঁত বোর্ডের জরিপ অনুযায়ী হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা ৫৫ হাজার এবং বিদ্যুৎচালিত পাওয়ার লুমের সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। এই তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় দেড় লাখ শিশু ও নারী-পুরুষ। এ ছাড়া অন্যান্য ব্যবসা ও পেশার লোকজন তাঁত শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাঁত শিল্পকে কেন্দ্র করে শাহজাদপুর ও আতাইকুলায় কাপড়ের হাট গড়ে উঠেছে। 

স্থানীয় বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে এবং কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আতাইকুলা ও শাহজাদপুর হাটে প্রতি সপ্তাহের চারদিন (দিনরাত মিলে) কাপড় বিক্রি হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাপড় ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা এই হাটে এসে শাড়ি-লুঙ্গি ক্রয় করে থাকেন। এখান থেকে ভারতে শাড়ি ও লুঙ্গি রফতানি হয়ে থাকে। প্রতি হাটে ব্যাংক ও নগদসহ প্রায় ৫০ কোটি টাকার লেনদেন হতো। বর্তমানে কাপড় ক্রয়-বিক্রয়, রফতানি ও ব্যাংক লেনদেন অর্ধেকে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে খেলাপি ঋণের সংখ্যা বাড়ছে।  বেড়ার হাতিড়াগাড়া গ্রামে ৫টি কারখানায় প্রায় ২০০ তাঁত বন্ধ রয়েছে। তাঁতি শফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৪০ বছরের ব্যবসা-জীবনে এমন ভয়াবহ অবস্থা কোনোদিন দেখিনি। কাপড় বিক্রি করে শ্রমিকের মজুরির টাকাই জোগাড় হচ্ছে না। গুদামে লাখ লাখ টাকার কাপড় পড়ে আছে। জমি বিক্রি করে ব্যাংক সুদের ১৬ লাখ টাকা দিয়েছি। মোট ৩০৪টি তাঁতের মধ্যে মাত্র ৯৫টি চালু রেখেছি। রফতানিকারক মেসার্স রায় ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিত্যনন্দ রায় বলেন,  মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে কাপড় রফতানি হতো। তিন বছর ধরে ভারতের রাজ্য সরকার ছয় শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ভারতে টাকা ও ডলারের মূল্যমানে ব্যবধানের কারণে রফতানির পরিমাণ অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া না হলে এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। 

আতাইকুলা হাটের একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জানান, গত তিন বছরের অনুপাতে বর্তমানে লেনদেন অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। বেশিরভাগ তাঁত মালিক শুধু লুঙ্গি তৈরি করে থাকেন। অন্য কোনো কাপড় তারা তৈরি করেন না। সে কারণে বাজার মন্দা হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। উৎপাদিত কাপড় কম দামে, বাকিতে কিংবা চেকের মাধ্যমে বিক্রি করায় মালিকরা ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারছেন না।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১