আপডেট : ০৬ November ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই সারা দেশে অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হবে। অভিযানে পুলিশের মূল টার্গেট থাকবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা। যারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন ব্যক্তিদেরও আটক করা হবে। পুলিশের শীর্ষ একটি দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও রাজনৈতিক উগ্রপন্থিরা যাতে অপতৎপরতায় লিপ্ত হতে না পারে- সে জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এবার নির্বাচনের আগে পুলিশ মাঠে নামছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা নিয়ে। এসব তালিকায় অবৈধ অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের নাম রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পুলিশ সদর দফতর থেকে দেশের রেঞ্জ ও মহানগরগুলোয় পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে ইতোমধ্যেই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় আনাগোনা শুরু করেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। আবার অনেকে জেলে থাকা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাদের জামিনে মুক্ত করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা উঠতি সন্ত্রাসীদেরও অনেকেই নির্বাচনে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। সঙ্গত কারণেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশব্যাপী অভিযান চালানো জরুরি। পুুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, অভিযানের সময় যাতে কোনো সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করা হয় সে ব্যাপারেও একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সম্প্রতি নরসিংদীতে ২টি জঙ্গি আস্তানা আবিষ্কার করে জঙ্গিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, ঢাকা রেঞ্জের সব জেলা এবং থানাগুলোয় নির্দেশনা দেওয়া আছে যদি কোথাও কোনো জঙ্গি থাকে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই। কেউ যাতে নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত হতে না পারে সেদিকে কড়া নজরদারি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা রেঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করে। তারপরও নির্বাচন ঘনিয়ে এলে সুযোগ সন্ধানীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে নানাচক্র ও গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এবার এসব গোষ্ঠী বা চক্রের মূলোৎপাটনের মিশন নিয়ে মাঠে নামব। পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (গোপনীয় ও বিশেষ ব্যবস্থাপনা) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের আগে সাধারণ সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে এবারের নির্বাচনে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর এ ধরনের অভিযান দেশব্যাপী শুরু করা হতে পারে। এ ব্যাপারে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বা অরাজকতা সৃষ্টির কোনো সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। বছরজুড়েই পুলিশ সদস্যরা অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, জঙ্গি সন্ত্রাসী গ্রেফতার করে। জন-সাধারণের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে কোনো কোনো গোষ্ঠী নির্বাচন বানচাল, অরাজকতা ও নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, এসব এবার হতে দেওয়া হবে না। পুলিশ সদস্যরা এসব অপতৎরতা যেকোনো মূল্যে মোকাবেলা করবে। অভিযান পরিচালনাকালে কোনো সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়- এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১