আপডেট : ০৫ November ২০১৮
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ থেকে পাকিস্তানের আদালতে খালাস পাওয়া আসিয়া বিবির স্বামী আশিক মাসিহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় আশ্রয় চান তিনি। তার পরিবারের লোকজন পাকিস্তানে বড় ধরনের বিপদের মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে শনিবার ইউরোপের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন আসিয়া বিবির আইনজীবী সাইফ মুলক। খবর ডন ও বিবিসি। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ আসিয়া ও তার পরিবারকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এক ভিডিও বার্তায় তার স্বামী বলেন, আমি আমার পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কিত। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি তিনি যেন আমাদের সাহায্য করেন এবং যতদূর সম্ভব স্বাধীনতা দিন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ার টম টাগেনহাট এমপি জানিয়েছেন, তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পরিস্থিতির জরুরি মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এছাড়া কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদেরও সাহায্য কামনা করেছি। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। কোনো নিরাপত্তা নেই। লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আমার স্ত্রী আসিয়া গত ১০ বছর ধরে কারাগারে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ১০ বছর তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। এদিকে দেশত্যাগ করা আইনজীবী সাইফ জানিয়েছেন, আসিয়ার প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখতেই পাকিস্তান ছেড়েছেন তিনি। নিরাপত্তার জন্য আমার মক্কেলকেও পশ্চিমা কোনো দেশে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে প্রথম নারী হিসেবে ২০১০ সালে ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনে আসিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিশ্ব জুড়ে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। গত ৩১ অক্টোবর তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। রায়ের পরপরই বিক্ষোভ শুরু করে তেহরিক-ই-লাব্বায়েক (টিএলপি)। ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক রাস্তা অবরোধ করে দলটির কর্মী ও সমর্থকরা। প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার ও রায় বাতিল করা বেঞ্চের অপর দুই বিচারককে হত্যার আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা। টিএলপি নেতা মুহাম্মদ আফজাল কাদরি সরকার ও সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়াকে উৎখাত করতে সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হতে থাকলে সরকার গত শুক্রবার মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধের নির্দেশ দেয়। ইসলামাবাদে টেলিফোন নেটওয়ার্কও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। শনিবার দুই পক্ষের সমঝোতা হয়েছে বলে জানানো হয়। চীন সফরে থাকা দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদে ভাঙচুর ও ক্ষতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া প্রাদেশিক সরকারের সহযোগিতায় এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেন তিনি। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেহরিয়ার আফ্রিদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে গ্রেফতার অভিযানের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বিক্ষোভের নামে দেশ জুড়ে যারা অরাজকতা চালিয়েছে তারা ক্ষমা পাবে না।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১