বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৪ November ২০১৮

ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট

মির্জা ফখরুল মুখপাত্র

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ছবি : সংগৃহীত


নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আবারো সংলাপ চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ লক্ষ্যে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। গতকাল শনিবার রাতে এক বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে গতকাল রাতে কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে বৈঠক করেন ফ্রন্ট নেতারা। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে ‘কাঙ্ক্ষিত সফলতা’ না আসায় ফের সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সীমিত পরিসরে এ সংলাপ করতে চায় ফ্রন্ট। এ লক্ষ্যে আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীকে ফের চিঠি পাঠাবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, মহাসচিব তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাতীয় ঐক্যের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ। ।

বৈঠক সূত্র জানায়, আগামী ৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাজধানী ঢাকায় ও ৯ তারিখ (শুক্রবার) রাজশাহীতে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রন্ট। এ লক্ষ্যে ফ্রন্টের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সমাবেশ সফল করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। আজ থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু করবেন তারা। এ ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফ্রন্টের মুখপাত্র করা হয়েছে।

জানা গেছে, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ কামাল হোসেনের চিঠি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছে দেবে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফা সংলাপ হলে নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রথম দফা সংলাপে নির্বাচন পেছানোর প্রসঙ্গটি তোলা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ তা নাকচ করে দিয়েছে। যদিও বিষয়টি ফ্রন্টের সাত দফা দাবির মধ্যে ছিল না।

এদিকে গত ১ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের পর গত শুক্রবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বাংলাদেশের খবরকে বলেন, প্রথম দফা সংলাপের ফলাফলে তারা সন্তুষ্ট নন। তাই দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসতে চায় বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। দ্বিতীয় দফা সংলাপে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে প্রতিনিধিদল করা হবে। 

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফা সংলাপে ফ্রন্টের প্রতিনিধিদলে থাকবেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিনিধিদলে ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞদের টিম গঠন করা হতে পারে। চাইলে সরকার তাদের পক্ষের কোনো কোনো বিশেষজ্ঞকে রাখতে পারে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসার ইচ্ছার কথা জানা গেছে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ফ্রন্টের চিঠি থেকে।

অপরদিকে গতকাল এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ নভেম্বরের পর আর কোনো সংলাপ হবে না। তার এমন বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের শিডিউল পর্যালোচনা করে ৭ নভেম্বরের মধ্যে মাত্র একদিন সময় আছে। সেদিন ৬ নভেম্বর। এর আগের দিন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ রয়েছে ৫ নভেম্বর। আর ৭ নভেম্বর সংলাপ হবে গণতান্ত্রিক বাম জোটের সঙ্গে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১