ঝিনাইদহে কথিত ও বহুল আলোচিত স্ব-ঘোষিত মানবাধিকার কর্মী জেকে মৌ চৌধুরীর ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন বিউটি আক্তার নামের এক গৃহবধু। এ ঘটনায় জেকে মৌ চৌধুরীর বিচার চেয়ে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী বিউটি। শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ‘তার স্বামী ঢাকার পশ্চিম রামপুরা এলাকার সাদায়েত হোসেন চৌধুরীর ছেলে আনোয়ার চৌধুরীর সাথে বেশ কয়েকদিন যাবৎ বনিবনা হচ্ছিল না। স্বামী আনোয়ার হোসেন তাকে মারধর করতো এবং সংসারে খরচ দিত না। এরপর তিনি স্ব-ঘোষিত মানবাধিকার কর্মী জেকে মৌ চৌধুরীর কাছে বিষয়টি খুলে বলেন। এই সুযোগে মৌ চৌধুরী তার কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। সেই সাথে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেন বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, স্বামীর অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে মৌ চৌধুরী তাকে ঢাকা নিয়ে গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করতে বলেন। সেখানে একটি কাগজে সই করিয়ে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। এখন আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে আজ নিজে সংবাদ সম্মেলন করছি।

বিউটি আক্তার অভিযোগে জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, জেকে মৌ চৌধুরী ঝিনাইদহ শহরে নিজেকে মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, এ্যাডভোকেট, আবার এনজিও কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হলেও মুলত তার পেশা সমাজের বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতানো। সমাজের অনেকেই তাকে মক্ষিরানি বা নাইট কুইন হিসেবেও চেনেন। মৌ চৌধুরী হেজবুত তাওহিদের একজন সদস্য। বিভিন্ন সময় হেজবুত তাওহীদের প্রচারপত্র ও লিফলেট এবং পত্রিকা বিক্রি করতেন। এছাড়াও তার একাধিক স্বামী রয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে আসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার সময় এলাকাবাসী ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছিলেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জে কে মৌ চৌধুরীর মোবাইলে কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ওই সংবাদ সম্মেলনে বিউটি আক্তারে পিতা বাবর আলী, মা শাহিদা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।