আপডেট : ০২ November ২০১৮
পর্যটনের বিকাশে নদীকে বাঁচিয়ে রাখার কোনো বিকল্প নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ সম্মেলন কক্ষে ‘সমৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যে নদী পর্যটন’ শীর্ষক এ সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত দেন। এ সময় দেশে নদীর সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। এতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান খান কবির, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম এবং ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে আরিফ উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক ড. সন্তোষ কুমার দেব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া সেমিনারে নদী পর্যটন বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমরা নদীর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারছি না। আমাদের কাছে তা নেই। তবে সিজিএস বলেছে, দেশে নদীর সংখ্যা ৪০৫। আমাদের জেলা ও উপজেলার কমিটিগুলো একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর সংখ্যা বের করতে কাজ করছে। এ সময় তিনি নৌ-পর্যটন বিকাশের জন্য নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নদী পর্যটন নদীর উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। নদীকেন্দ্রিক পর্যটন ও নদী উন্নয়নের জন্য উচ্চতর গবেষণা প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো গবেষণা হয়নি। মূল প্রবন্ধে মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি, আবহমান জীবনধারা সবকিছুই নদীকেন্দ্রিক। তাই নদী বাঁচলেই দেশ বাঁচবে। একটি নদীর মৃত্যু মানে শুধু একটি জলধারা নয়, বরং দেশের অর্থনীতির মৃত্যু, সভ্যতা-সংস্কৃতির স্থবিরতা। দুঃখের বিষয় নদীর সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। কেউ নদীর সংখ্যা বলছেন ৫৪০। তবে সংখ্যা হয়তো ৮০০ হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের নদীর সৌন্দর্যের কমতি নেই। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে তা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিকশিত হতে পারেনি। সেমিনারে বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, গার্মেন্ট শিল্পের পর দেশের অর্থনীতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে পর্যটন শিল্প। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নদীগুলো হতে পারে পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু। সেমিনারে অতিথিরা বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে নদী দূষণের সঙ্গে জড়িত। ঢাকা শহরের সমস্ত বর্জ্য বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে না।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১