বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০২ November ২০১৮

নারায়ণগঞ্জে হেফাজত আমীরকে লাঞ্ছিত

নারায়ণগঞ্জ ম্যাপ


নারায়ণগঞ্জে তাবলীগ জামায়াতের কর্তৃত্ব নিয়ে একটি মসজিদে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই সময়ে জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর ও শহরের অন্যতম বৃহৎ ডিআইটি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল আউয়ালকে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই সময়ে অন্যরা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চড়াও হয় লোকজন। এ নিয়ে মসজিদের ভেতরে যখন চরম উত্তেজনা চলছিল তখন পুলিশ সেখানে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের আমলাপাড় ছোট মার্কাজ মসজিদে ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বাদ জুমা শহরের ডিআইটিতে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছেন মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান যিনি জেলা হেফাজতে ইসলামের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন।

জানা গেছে, গত এক বছর ধরে তাবলীগ জামাতের ভেতরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। একটি গ্রুপ অনুসরণ করছেন মার্কাজপন্থী ভারতের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে। আর আরেকটি গ্রুপ রয়েছে তার বিরোধী যাদের বাংলাদেশে নেতৃত্বে দিচ্ছে হেফাজতপন্থী আলেমরা। নারায়ণগঞ্জে হেফাজতপন্থী আলেমরা সাদপন্থীদের বিরোধীতা করে আসছে। তারা চাচ্ছেন মার্কাজ দখল করতে। ১ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের আমলাপাড়াতে স্বর্ণপট্টি সংলগ্ন অবস্থিত ছোট মার্কাজ মসজিদে বিবাদমান দুটি গ্রুপ অবস্থান নেয়।

পরবর্তীতে মাগরিবের নামাজের সময় জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল ও মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে আমলাপাড়া মসজিদে হাজির হন। মাগরিবের নামাজ শেষে আবদুর আউয়াল সাপ্তাহিক বয়ান করতে চাইলে সাদ পন্থীরা বাধা দেন। তখন সাদপন্থী ও হেফাজতপন্থী তাবলীগের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে পূর্ব নির্ধারিত অনুযায়ী সাপ্তাহিক বয়ান করেন আমলাপাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা খোরশেদ। তিনি এশা নামাজের আগ পর্যন্ত বয়ান করেন। বয়ান চালাকালিন সময়ে এশার নামাজের পুর্ব মুহূর্তে আবদুল আউয়াল কিছু বলতে চাইলে তাকে সাদপন্থী তাবলীগের সমর্থকরা বাধা দেন। আবদুল আউয়ালের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতন্ডা জড়িয়ে পড়েন সাদ গ্রুপের লোকজন। তখন তাদের মধ্যে মৃদু হাতাহাতির সময়ে আউয়ালকে লাঞ্ছিত করা হয়।

এ ব্যাপারে ফেরদাউসুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা সেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থায় ছিলাম। নামাজের প্রাক্কালে হঠাৎ করেই আবদুল আউয়ালের উপর চড়াও হয় সাদ পন্থী হিসেবে পরিচিত আসাদুর রহমান, শাহাদাত, ফিরোজ, সোহেল, অহিদ, জালালউদ্দিন, রাসেল প্রমুখ। তারাই মূলত আবদুল আউয়ালকে লাঞ্ছিত করে।’

তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বাদ জুমা আমরা ডিআইটি জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিল করবো। আপাতত থানায় জিডি করবো। পরে প্রয়োজনে মামলা করবো।’

এশার নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে সাদপন্থীদের কথায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান মসজিদের ভিতর প্রবেশ করে আবদুল আউয়ালসহ তার সঙ্গী সাথীদেরকে বের করে দেন। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আবদুল আউয়াল কোন রকম বক্তৃতা ছাড়াই ঘটনাস্থল থেকে ত্যাগ করেন। এসময় আবদুল আউয়াল বলেন, এটা কোনো তাবলীগের নিয়ম হতে পারে না। মসজিদ থেকে একজনকে জোর করে বের করে দেয়া হবে।

এসময় সাদপন্থী তাবলীগের সমর্থকরা অনেক মুসুল্লিকেও মসজিদ থেকে বের করে দেন। ফলে অনেক মুসল্লিই তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১