বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩০ October ২০১৮

বনদস্যুমুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন

এ পর্যন্ত ২৬ বাহিনীর ২৬৪ বনদস্যুর আত্মসমর্পণ

সুন্দরবানের বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছবি : সংগৃহীত


সুন্দরবনে শান্তি ফিরে আসছে। এখানে সক্রিয় বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই অনেকে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে। আগামী ১ নভেম্বর শেষ হতে যাচ্ছে বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া। ওইদিন সকাল ১০টায় বাগেরহাট সদরে সবশেষ এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সরাসরি ভিডিও বার্তায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। র্যাব সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিন আরো ৫-৬টি বনদস্যু দলের আত্মসমর্পণের কথা রয়েছে। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনে বনদস্যুমুক্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে সূত্র জানায়।

দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত এ বন দেশের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। সুন্দরবনকে ঘিরে এসব জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ যুগ যুগ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সরকারের ঘোষণা মোতাবেক র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) উদ্যোগের কারণে বনজীবীদের কাছে ভয়ঙ্কর বন এখন ধীরে ধীরে অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে সুন্দরবনের জলদস্যু-বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে পাল্টে যাচ্ছে সুন্দরবনের চিত্র। আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যু-বনদস্যুদের পুনর্বাসনে ‘সুন্দরবনের হাসি’ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় গত ১২ জুন। এতে করে সুন্দরবনের বনদস্যুরা সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে।  র্যাব সূত্র আরো জানায়, এ পর্যন্ত সর্বমোট ২৬টি বাহিনীর ২৬৪ জন জলদস্যু ৩৭৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৮ হাজার ৮০৪ রাউন্ড গোলাবারুদসহ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা অপরাধের পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় তারা সমাজের অন্যান্য অপরাধী ও বিপজ্জনক জনগোষ্ঠীর সামনে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১