আপডেট : ২৮ October ২০১৮
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চ্যানেল আই অনলাইনের সাংবাদিক ও এক ছাত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। আজ রোববার সকাল ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিক পুরাতন ও নতুন প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অবরোধে অংশ নিয়ে কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। তাদের দাবি, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা। অবরোধ কর্মসূচিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক সমিতি, সাংস্কৃতিক জোট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্টসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন সংহতি জানিয়ে ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুল এলাকায় দুই বহিরাগতকে ছিনতাই ও মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে সেখানে কর্মরত চ্যানেল আই অনলাইনের সাংবাদিক মাহমুদুল হক সোহাগ ও অপর এক ছাত্রী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। পরে হামলার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর তারা পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল টিমের প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২ অক্টোবর প্রথমে ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা হলেন- নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪২ তম আবর্তনের নেজামউদ্দিন নিলয়, লোক প্রশাসন বিভাগের ৪৭ তম আবর্তনের রাফিউল সিকদার আপন, লোক প্রশাসন বিভাগের ৪৭ তম আবর্তনের সোহেল রানা, বাংলা বিভাগের ৪৫ তম আবর্তনের শুভাশিষ শুভ, লোক প্রশাসন বিভাগের ৪৭ তম আবর্তনের মোস্তাফিজুর রহমান, ইফতেখার উদ্দিন এবং আমিনুল ইসলাম। ওইদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত তিন জনকে বাদ দিয়ে পুনরায় চার জনের বহিষ্কারাদেশ দেয় অপর একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত কমিটিকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ৪ অক্টোবর কোন অদৃশ্য শক্তির চাপে মূল দোষীদের বাদ দিয়ে বহিষ্কার আদেশ দিয়ে আবার তা প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে অবরোধের কারণে সকাল থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা কর্মচারী প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে পারে নি।
গত ৪ অক্টোবর উপাচার্যের সঙ্গে সাংবাদিকরা দেখা করে পুনরায় বহিষ্কারাদেশ কার্যকরের কথা বললে তিনি ১২ অক্টোবরের মধ্যে দোষীদের বিচারের আশ্বাস দেন। উপাচার্যের দেয়া আশ্বাসের কোন কার্যকরি ভূমিকা না দেখতে পেয়ে রোববার থেকে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১