আপডেট : ২৪ October ২০১৮
প্রত্যাশা ছিল লিটন দাসকে নিয়ে। তার পেছনে কারণ ছিল এশিয়া কাপের ফাইনাল। যেখানে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। তবে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সেই ধারাবাহিকতার দেখা মেলেনি। ঘরের মাঠে করতে পেরেছেন মাত্র ৪ রান। ওয়ান ডাউনে নামা অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি চাপ নিতে পারেননি। শূন্য রানে বিদায়। অভিজ্ঞ মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। টপ অর্ডারে শুধু ব্যতিক্রম ছিলেন ইমরুল কায়েস। যিনি খেলেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেলা আড়াইটায় জিম্বুাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কিছুটা চিন্তিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম ম্যাচে জয় এসেছে ২৮ রানে। আজ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত বাংলাদেশের। এমন ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই জয় চাইছে স্বাগতিক শিবির। অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে জিম্বাবুয়ে। গতকাল গণমাধ্যমের সামনে মাশরাফি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। আর স্বস্তি ঝরেছে লেট অর্ডারদের নিয়ে। যেখানে সপ্তম উইকেটে ইমরুলের সঙ্গে সাইফউদ্দিনের ১২৭ রানের জুটির প্রশংসা করেছেন তিনি। তার মতে, টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ায় লেট মিডল অর্ডার দায়িত্বটা ভালোমতো পালন করেছে, যা সচরাচর দেখা যায় না। মাশরাফির দৃষ্টিতে, ‘আমার দিক দিয়ে বলব আমি খুশিই হয়েছি। সাইফউদ্দিন রান করেছে। এই পজিশনটা দেখা। আমি আগেও বলছি হয়তো বা এটা আদর্শ পরিস্থিতি নয়। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে যা হয় আরকি, এই যে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিগুলো যদি আমরা না দেখতাম তাহলে ওদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়ত না, আমাদেরও বাড়ত না। অন্য দলের অনেক সময় টপ অর্ডার রান পেলে লেট মিডল অর্ডার এক্সপোজড হয় না। কিন্তু আমাদের লেট মিডল অর্ডার এক্সপোজড হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসতে পেরেছি, এটা কিন্তু আমাদের আরো ওপরে উঠতে সাহায্য করবে।’ কিন্তু টপ অর্ডারে একজন বড় ইনিংস খেললেও দলীয় স্কোর বড় হচ্ছে না। এশিয়া কাপের ফাইনাল যেমন। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতেও। তিনি বলেন, ‘টপ অর্ডারে একজন একশ করার পরও রানটা কিন্তু তিনশ হচ্ছে না। সাধারণ টপ অর্ডারের একজন সেঞ্চুরি পেলে দলীয় সংগ্রহটা তিনশ ছাড়িয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এই জায়গাটা চিন্তার। টপ অর্ডারে বড় সংগ্রহের পর পরের দিকে যে সাহায্যটা দরকার সেটা এত পরে আসছে যে রানটা বড় হচ্ছে না। এই জায়গায় একটু মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে।’ প্রথম ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল ফজলে রাব্বির। তিনি শূন্য মেরেছেন চার বল খেলে। মাশরাফির মতে দ্বিতীয় ম্যাচেও সুযোগ প্রাপ্য তার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, অবশ্যই আরেকটি সুযোগ ওর পাওয়া উচিত। একটি ম্যাচ দিয়ে কাউকে বিচার করা কঠিন। বলতে পারেন, তাকে নেওয়া হলো কেন (প্রথম ম্যাচে), তাহলে সেদিক থেকে বলতে পারেন এটা ভুল। কিন্তু নেওয়ার পর অবশ্যই তাকে আরো সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ, একটি ম্যাচ দিয়ে তাকে বিচার করা উচিত নয়। আর যে বলে আউট হয়েছে সেটাতেও দোষ দেওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেট খেলায় এমনিতেও দোষের জিনিস কিছু নেই। আমি যদি রাব্বির জায়গায় থাকতাম তাহলে প্রত্যাশা করতাম যে আমি সামনের ম্যাচে খেলব। বাকিটা তো নির্বাচক, টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার।’ দ্বিতীয় ম্যাচে পরীক্ষার-নিরীক্ষার সুযোগ আছে কি না। মাশরাফির মতে হতেও পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। নাজমুল হোসেন শান্ত বসে আছে, তার সুযোগ পেতে হবে। বসে আছে আরিফুল হকও। আবু হায়দারও আছে। তবে আমাদের ক্লিনিক্যাল হতে হবে। ম্যাচ না হেরে একজন-দুজন করে কীভাবে সুযোগ দিতে পারি সেটা দেখতে হবে।’ আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সিরিজ জয়ের। জয়ই প্রত্যাশা করছেন মাশরাফি। তাই বলে কোনো রকমেই ছোট করছেন না জিম্বাবুয়েকে। এই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এক সময় ক্রমাগত হারত বাংলাদেশ। সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন ম্যাশ, ‘ওই সময়ের জিম্বাবুয়ে এক রকম ছিল, আমাদের ক্রিকেটে পেশাদারিত্ব শুরুর সময়। অবশ্যই পার্থক্য একটা ছিল। এখন হয়তো আপনারা পার্থক্য দেখছেন। আমরা কিন্তু ওভাবে চিন্তা করছি না। তাদের ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’ উল্টো বাড়তি সতর্কতায় আছেন টাইগার ক্যাপ্টেন, ‘তাদের সব সিনিয়র খেলোয়াড়ই এসেছে এবং আমরা জানি তারা তাদের সেরাটা খেললে আমাদের জন্য কঠিন হবে। সত্যিকার অর্থে এশিয়া কাপে যে মানসিকতা নিয়ে খেলেছি, যেন মিসটেক না করি। কিন্তু এটা ক্রিকেট, আমরা তো এখানে হংকংয়ের সঙ্গেও হেরেছি। ওটা কিন্তু মাথায় আছে আমাদের।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১