বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৪ October ২০১৮

কারাগারে আদালত কক্ষ রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জেলখানাকে পুনর্বাসনের স্থান করতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত ছবি


কারাবন্দি আসামিদের সুবিধার জন্য দেশের প্রতি কারাগারে আদালত কক্ষ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের হাজিরার তারিখে কারাগার থেকে আদালতে আনার ঝামেলা থেকে বাঁচতে নতুন এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় ৬২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনর্নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলখানায় একটি করে কোর্টরুম রাখতে হবে। যাতে আসামিকে ফিজিক্যালি আদালতে না এনে সেখানেই মামলা পরিচালনা করা যায়। এতে করে মামলা পরিচালনাও সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলখানাকে শাস্তির জায়গা না করে পুনর্বাসনের স্থান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তাঁতসহ নানা ধরনের উৎপাদনমুখী কাজ করা হবে সেখানে। আয় যা হবে তা কয়েদিদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলখানায় একটি টেলিফোন বুথ থাকবে। যাতে করে কয়েদিরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন।

কারাগারে আদালত কক্ষ বসানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী এমন সময়ে দিলেন যখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার একটি মামলা পরিচালনার জন্য কারাগারে আদালত স্থাপন নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার ‘হাজিরার সুবিধার’ জন্য সম্প্রতি কারাগারেই আদালত বসানো হয়। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সেই আদালতকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে শুনানিতে হাজির হননি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয়। আদালতে মুভমেন্ট করতে তার সমস্যা হয়। তার সমস্যা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জেলখানায় আদালত বসানো হয়েছে। সে সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলছে যে জেলখানায় কোর্ট বসানো সংবিধানবিরোধী। কিন্তু জিয়াউর রহমান যখন কারাগারে কোর্ট স্থাপন করে কর্নেল তাহেরের বিচার করেছিলেন তখন সে বিচার কি সংবিধান অনুযায়ী ছিল না? খালেদা জিয়া এবং আমি যখন সাবজেলে ছিলাম তখন সাবজেলে কোর্ট বসানো হয়েছিল এবং আমরা দুজনই সেখানে হাজির হয়েছিলাম। সে কোর্ট কি সংবিধান লঙ্ঘন করেছে? তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রজ্ঞাপন জারি করে যেকোনো স্থানে কোর্ট বসানো যায়। 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১