চিংড়ি খামারের পাশে টমেটো, মুলা আর লাল শাক। অন্য ভূমিতে পালং শাক, পুই শাক, বেগুন, শিম, ওলকপি, বাঁধাকপি আর ফুলকপি শোভা পাচ্ছে। জেলায় শীতের সবজি আবাদ করা জমির পরিমাণ ৬ হাজার ৪৮৫ হেক্টর। আর ৪০০ কোটি টাকার সবজি আবাদে নেমেছেন ৯ উপজেলার ৩ লাখ ২৭ হাজার কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

এবার কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়নি। আশ্বিন মাস থেকে ভূমি সতেজ রয়েছে। কাদামাটি না থাকায় শীতের সবজি উৎপাদনে উপযোগী ছিল চিংড়ি খামারে। কৃষক আশ্বিন মাস থেকেই লাল শাক ও মুলা উৎপাদন শুরু করে। কার্তিকের প্রথম দিন থেকেই বেগুনসহ অন্যান্য সবজির উৎপাদন শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব মতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শীতকালীন আবাদের সূচনা। এবার কৃষক আগেভাগেই সবজি উৎপাদন শুরু করেছে। জেলায় ৬ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি রোপণ হয়েছে। এর মধ্যে ৭২৫ হেক্টর বেগুন ও ৭৬৬ হেক্টর টমেটো। গত বছর জেলায় ১৫ হাজার টন বেগুন, ১৭ হাজার টন টমেটো ও ৯ হাজার ২৫০ টন আলু উৎপাদন হয়।

ফুলতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিনা খাতুন জানান, চিংড়ি খামারের আইলে টমেটো আর লাল শাক উৎপাদন শুরু হয়েছে আগেভাগেই। অন্য জমিতে বেগুন, শিম ও নানা ধরনের কপি চারা রোপণ হয়েছে। উপজেলার দামোদর ও জামিরা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি জমিকে সবজির আবাদ হয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের দেওয়া তথ্যমতে খর্ণিয়া ও মাগুরখালী থেকে উৎপাদিত শিম বাজারে আসতে শুরু করেছে। উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে শিম, ২৩০ হেক্টর জমিতে লাল শাক, ৩৪০ হেক্টর জমিতে টমেটো, ৩৩০ হেক্টর জমিতে বেগুন, ২৮০ হেক্টর জমিতে ওলকপি, ২৮৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ১৬০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপির আবাদ হয়েছে। ৭ ইউনিয়নের সব গ্রামের কৃষকরা শীতের সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত।

ডুমুরিয়া সদরের কৃষক মাস্টার আবদুল মজিদ বলেন, ৬৩ শতক জমিতে লাল শাক, মুলা, টমেটো, ওলকপি, শিম ও পুঁই শাকের আবাদ করেছি। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় টমেটো ও লাল শাক বিক্রি শুরু হবে। গত বছর শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। তার প্রতিবেশী ফরিদুল ইসলাম মোল্লা, আসাদুল মোল্লা, নজরুল ইসলাম মোল্লা, হায়দার শেখ ও মাহবুবুর রহমান গাজী বাড়তি মুনাফার আশায় আগেভাগেই শীতের সবজি উৎপাদন করেছে।