বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২১ October ২০১৮

সবাই শিক্ষক হতে পারেন না: শরীফ সাদী

শুক্রবার শিক্ষক আহসান উল্লাহর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার চুল্লী গ্রামে স্মরণসভার আয়োজন করা হয় সংগৃহীত ছবি


সবাই শিক্ষক হতে পারেন না। যারা নিজেকে ভালো ছাত্র মনে করেন, তারাই ভালো শিক্ষক হতে পারেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে পারেন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ আহসান উল্লাহর স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শরিফ আহমদ সাদী।

শুক্রবার শিক্ষক আহসান উল্লাহর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার চুল্লী গ্রামে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, আহসান উল্লাহ সাহেব ছিলেন একজন সৎ ও আদর্শ শিক্ষক।’

গত ৬ অক্টোবর সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নিকলীগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টে শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ আহসান উল্লাহর মৃত্যু হয়। সড়কে এক শিশুকে রক্ষা করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শাহ মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের এ.বি নূরজাহান হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি একজন সু-সাহিত্যিক ও বোদ্ধা পাঠক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

তার স্মরণে আয়োজিত সভায় আলোচনা করেন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। তিনি বলেন, ‘আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন কিশোরগঞ্জের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের সুবাদে আমি তাকে যতটুকু দেখেছি, শিক্ষার জন্য তিনি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিজের স্কুলকে তিনি যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, এমন উদাহরণ খুব কমই রয়েছে।

উল্লেখ্য এ.বি নূরজাহান হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমানে নিকলী উপজেলায় শিক্ষার আদর্শ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর এই স্কুলটি উপজেলায় সেরা ফলাফল করে আসছে।

স্মরণসভায় শিক্ষক আহসান উল্লাহর নামে একটি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন তার ভাতিজা দৈনিক আজকালের খবরের সম্পাদকীয় সহকারি শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ। প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ করবেন বলে উপস্থিত আলোচক ও সহকর্মীরা জানান। গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠায় প্রাথমিকভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভালো বইয়ের যোগান দিতে পারবেন বলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন বড় ভাই শাহ মোহাম্মদ ওবায়েদ উল্লাহ এবং ছোট ভাই শাহ মোহাম্মদ এনামুল কবির।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রয়াত শিক্ষকের চাচা ডা. এস এম মোস্তফা খান পাঠান। আরো আলোচনা করেন করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুল ইসলাম দুলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিউজ্জামান শফি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, এ.বি নূরজাহান হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূরুল আমিন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৌলভী জসিম উদ্দিন, গুনধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আঙ্গুর ভূঁইয়া, জয়কা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশিদ।

মৃত্যু নিয়ে শাহ মোহাম্মদ আহসান উল্লাহর লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করেন অ্যাডভোকেট সদরুল উলা। কোরআন তেলাওয়াত করেন নিহতের ভাতিজা শাহ আব্দুল্লাহ আল নোমান। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রয়াতের ছোট ভাই মাওলানা শাহ ফায়েজ উল্লাহ। সভা সঞ্চালনা করেন করিমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম শাহজাহান। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অবসর বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী মৃত কান্দাইল মাদরাসা সুপার মৌ হাফিজ উদ্দিনের পরিবারের হাতে তাদের প্রাপ্য অবসরের টাকার চেক তুলে দেন। দু’বছর আগে নৌকাডুবিতে হাফিজ উদ্দিনের মৃত্যু হয়।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১