বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২০ October ২০১৮

টাঙ্গাইলের সখীপুরে কুকুরের দৌরাত্ম্য

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বেড়েছে কুকুরের উপদ্রপ ছবি: বাংলাদেশের খবর


টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরশহরে বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নগরবাসী।  আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে নিজ নিজ দলে ২০-৩০ সদস্যের কুকুর নিয়ে পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়কে যেন ‘মহড়া’ দিচ্ছে।

কুকুরে উপদ্রবে কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিশুরা যেমন ভয় পাচ্ছে স্কুলে যেতে; তেমনি অভিভাবকরাও ভয় পাচ্ছে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে।  কুকুরের প্রজননের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সখীপুর পৌরশহরসহ উপজেলাব্যাপী কুকুরের আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চ আদালত থেকে কুকুর নিধনের নিষেধাজ্ঞার ফলে  পৌর কর্তৃপক্ষ কুকুর নিধন করতে পারছে না। পৌরশহরে প্রধান প্রধান সড়ক, চৌরাস্তা এবং ছোট-বড় বাজারে ২০-৩০ টি কুকুর এক সঙ্গে দল বেঁধে চলাফেরা করে। সংঘবদ্ধ কুকুরের দল শহরের উত্তরামোড়, জেলখানা মোড়, উপজেলা রোড, মন্দির পাড়া, ঢাকা রোড, গার্লস স্কুল রোড, মহিলা কলেজ রোডসহ উপজেলার কচুয়া বাজার, কালিয়া বাজার, শোলাপ্রতিমা বাজার, দেওদিঘী বাজারে আস্তানা করে তাণ্ডব চালাচ্ছে। কুকুরের হামলায় অনেক পথচারী আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে। এমনকি ছাত্র-ছাত্রী, একাকি কোনো পথচারী কিংবা অটোভ্যান, সাইকেল ও মোটর সাইকেল আরোহীকে কামড়ানোর চেষ্টাও করে বেওয়ারিশ কুকুরের দল।

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, কুকুরের কামড়ে মানুষ অহরহ আহত হচ্ছে।  গত দেড় মাসে প্রায় শতাধিক কুকুরে কামড়ানো রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন না পেয়ে রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্বজনদের। এ ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীনুর আলম বলেন, হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন এবং কুকুর বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি বা জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশন বরাদ্দ নেই।  হয়তো সামনে বরাদ্দ পাওয়া যেতে পারে। কোনো রোগী এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরশহর ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি গ্রামে অসংখ্য বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। কিছুদিন আগে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহায়তায় সখীপুর পৌরসভা কুকুরের জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশন দেয়। পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

সখীপুর পৌর কাউন্সিলর মো. জাহিদ হোসেন বলেন, পৌর এলাকায় যে হারে কুকুরের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে; তাতে মানুষ প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসছে। কিন্তু কুকুর নিধনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা কিছুই করতে পারছি না।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১