আপডেট : ১৭ October ২০১৮
দেশে গবাদিপশুর খুরা রোগের ভয়াবহ প্রকোপ রয়েছে। এতদিন এ রোগের ভ্যাকসিনের চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ হতো। সেটা অপ্রতুলও ছিল। এ ছাড়া এসব ভ্যাকসিন ব্যয়বহুল হওয়াতে অনেক সময় চিকিৎসার অভাবে পশুর মৃত্যু হতো। আবার চিকিৎসা করিয়ে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়তেন খামারিরা। কিন্তু এখন দেশেই এই সংক্রামক রোগের প্রতিরোধক ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে। উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব অনুষদের অধ্যাপক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের একদল গবেষক এ কৃতিত্ব দেখিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন সম্পর্কে জানাতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসেইন, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ গবেষক দলের সদস্য ও অন্যরা। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় হকেপ প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞানীরা এই বিরাট আবিষ্কার করেছেন। এতে দেশের প্রাণিসম্পদ খাত অনেক এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, আগে খুরা রোগের যেসব ভ্যাকসিন পাওয়া যেত সেসব ১২০ থেকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি হতো। এ কারণে দরিদ্র অনেক খামারি চিকিৎসা করাতে পারতেন না। আবার অন্য দেশ থেকে আনা এসব ভ্যাকসিন যে ভাইরাসের জন্য কার্যকর, দেশের পশু ঠিক সে ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়াতে সেটা অনেক সময় কার্যকর হতো না। এ আবিষ্কারের ফলে এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে প্রতিটি ভ্যাকসিন কিনতে পারবেন খামারিরা। ভ্যাকসিন সম্পর্কে আনোয়ার হোসেন বলেন, এটি আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আক্রান্ত পশুর টিস্যুর নমুনা নেওয়া হয়েছে। এরপর গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে খুরা রোগের ভাইরাসে তিনটি সেরোটাইপ সঞ্চারণশীল রয়েছে। এর মধ্য থেকে বিভিন্ন বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভাইরাস স্ট্রেইনগুলোকে ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এসবের সম্পূর্ণ জীবনরহস্য উন্মোচনপূর্বক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাজারে বিদ্যমান আমদানিকৃত ভ্যাকসিন ভাইরাসের সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য পাওয়া গেছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১