বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৯ October ২০১৮

মির্জা ফখরুল বললেন

বর্তমান সরকারের কোনো আইন বিএনপি মানে না

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংরক্ষিত ছবি


সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্বাক্ষরের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের কোনো আইন তারা মানেন না। কারণ যে সংসদে তা পাস করা হয়েছে সে সংসদের বৈধতা নেই। এই সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। গতকাল দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলের হলরুমে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন আরো পাকাপোক্ত করতে সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করা হয়েছে। আইন পাস করা নিয়ে সাংবাদিকসহ সব মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার নানা ‘কালো আইন’ করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আরো কালো। এই আইনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই সরকারকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। জনগণকে জিম্মি করে কিছু দিনের জন্য ক্ষমতায় থাকা যায়। চিরদিনের জন্য নয়। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে নিতে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।

সভায় দৈনিক বাংলাদেশের খবরের উপদেষ্টা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮’ সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই অ্যাক্ট বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ প্রতিশ্রুতি যেন ঠিক থাকে। এ ছাড়া সরকারবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনে যেসব দফা দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিটিও দফা হিসেবে যুক্ত করা প্রয়োজন।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ধারা পেশাদার সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের কথা সরকার বললেও এই আইনের কয়েকটি ধারার সমালোচনা করে সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা বলছেন, এতে মত প্রকাশের অধিকার খর্ব হবে।

বিএনপি আয়োজিত সভায় ‘কি নোট’ উপস্থাপন করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, রুহুল আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নয়াদিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক মো. আলমগীর মহিউদ্দিন, বাংলাদেশের খবরের উপদেষ্টা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন, হলিডে সম্পাদক সৈয়দ কামাল উদ্দিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ, বিএফইউজে একাংশ সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজে একাংশ সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সমকাল প্রধান প্রতিবেদক লোটন একরাম, আমার দেশের বার্তা সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী, ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি সাইদ আহমেদ খান, কলামিস্ট হাসান আবেদ চৌধুরী কিরণ, এসএ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় ঢাকায় নিযুক্ত ইউকে, কানাডা, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, রাশিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনামের দূতাবাসের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীষ সৈকত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার মামুন স্ট্যালিন প্রমুখ।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১