আপডেট : ০৮ October ২০১৮
কোটা সংস্কারে নিজেদের পাঁচ দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা বলেছেন, ‘আমরা সব সময় কোটা সংস্কার চেয়েছি। আমরা কখনো কোটা বাতিল চাইনি। সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিলের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’ এ সময় সরকারি চাকরিতে বিশেষ নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানান তারা। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কার চেয়েছি। আমরা কখনো কোটা বাতিল চাইনি। কোটা বাতিলের ফলে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোনো বিশেষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বিশেষ নিয়োগ ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। সেই সঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সব সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছিল। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা সংস্কার না করে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছে। নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফল প্রকাশেরও দাবি জানান হাসান আল মামুন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুখ হোসেন বলেন, ‘আমরা সরকারের সব সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছি। কিন্তু সম্প্রতি কোটা বাতিলের বিষয়ে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছে, তাতে ছাত্রসমাজ সন্তুষ্ট নয়। কোটা বাতিলের পরিপত্র সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আমরা কখনো কোটা বাতিল চাইনি। পাঁচ দফার আলোকে কোটার সংস্কার চেয়েছি। সরকারের সবশেষ সিদ্ধান্ত আমাদের আংশিক সফলতা, পরিপূর্ণ বিজয় নয়।’ এ সময় তিনি সরকারকে তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। তাদের দাবিগুলো হলো- সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারীদের বিচার করা ও করতে হবে। পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কার করা। যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আংশিক পরিপত্র দেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা সব বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। শিক্ষাক্ষেত্রে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হোক। ছাত্রসমাজের সঙ্গে প্রহসন বা চালাকি করা হলে আমরা রাজপথে তার জবাব দেব।’ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, আতাউল্লাহ, জসিম উদ্দিন আকাশ ও মশিউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১