আপডেট : ০১ October ২০১৮
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। দুদক জানিয়েছে, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, অনন্ত কুমার সিনহা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলারে (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ) বাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চার হাজার বর্গফুটের ওই বাড়িতে বিচারপতি সিনহা থাকেন বলে দুদকের কাছে তথ্য রয়েছে। এ ছাড়া অনন্ত সিনহার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও খতিয়ে দেখবে দুদক। বিচারপতি এস কে সিনহা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শনিবার সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাই কমিশনে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিচারপতি এস কে সিনহা। এটাই ছিল বাংলাদেশে কোনো প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের প্রথম ঘটনা। ওইদিন সকালে পদত্যাগপত্রটি বঙ্গভবনে পৌঁছে। পরে ১৪ নভেম্বর তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে ১৩ অক্টোবর এক মাসের ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন। বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটিতে গেলে গত ২ অক্টোবর থেকে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগের প্রবীণতম বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হন। এর আগে ১ আগস্ট উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দিয়ে করা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে প্রধান বিচারপতির দেওয়া বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আইনজীবীরা। তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও তোলেন। সমালোচনার মধ্যেই ১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা হঠাৎ করেই এক মাসের ছুটি চেয়ে চিঠি দেন। ১১ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার কথা উল্লেখ করে করা প্রধান বিচারপতির এক আবেদনের প্রেক্ষিতে তার ছুটি ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত ১৩ অক্টোবর শেষ রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধান বিচারপতি। দেশ ছাড়ার আগে তিনি তার বাসভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অসুস্থ নই। বিচার বিভাগের স্বার্থে ফিরে আসব। ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে একটি মহল প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছে।’ তিনি একটি লিখিত বিবৃতিও সাংবাদিকদের দিয়ে যান। পরের দিন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন পাল্টা একটি বিবৃতিতে জানায় প্রধান বিচারপতির বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক। আরো বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ ওঠার পর তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এ কারণে তার সঙ্গে বসতে চাননি আপিল বিভাগের বিচারপতিরা।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১