বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৯ September ২০১৮

সেঞ্চুরির লক্ষ্যে


বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাভেলার্সদের মধ্যে অন্যতম নাম কাজী আসমা আজমেরী। যিনি ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, প্রকৃতি, দেশের মানুষ সম্পর্কে জানান দিচ্ছেন। দেশভ্রমণে আর চারটি দেশ ঘুরলেই তিনি সেঞ্চুরি করবেন। তার দুই চোখ ভরে উঠবে একশ’ দেশ দেখার আলোয়।

ইতোমধ্যে ৯৬টি দেশভ্রমণ শেষ করে আজারবাইজান থেকে ৯৭তম দেশ হিসেবে দাগিস্তানে অবস্থান করছেন। এর আগে ২০০৯ সালে ভ্রমণ করেছেন ভারত, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং। ২০১০ সালে কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই, চীন, ম্যাকাউ, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, তুরস্ক, মিসর, মরক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১১ সালে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগাল, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, মিয়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান।

২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, নিউজিল্যান্ড, কুক দ্বীপ, টঙ্গা। ২০১৩ সালে নিউ ক্যালেডোনিয়া, তাহিতি, সলোমন দ্বীপ, নিউ, কিরিবাটি, তাইওয়ান, ভানুয়াতু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা, পানামা, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর। ২০১৫ সালে পোর্ট রিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বেলিজ, জ্যামাইকা, বাহামা, আরুবা। ২০১৬ সালে ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মন্টিনিগ্রো, কসোভো, আলবেনিয়া, ম্যাসেডোনিয়া, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, মোল্দাভিয়া, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, নরওয়ে, কুয়েত। ২০১৭ সালে কিউবা, সামোয়া, কাতার। ২০১৮ সালে ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, কানাডা, জর্জিয়া,  বেলারুশ, আজারবাইজান।

কাজী আসমা আজমেরী আজারবাইজান ভ্রমণ শেষে এখন অবস্থান করছেন দাগেস্তান। সেখান থেকে তিনি ১০০টি দেশ পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানে যাবেন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট হওয়ার কারণে তার ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। তবু বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার বাহন হিসেবেই ঘুরবেন বিশ্বময়।

আসমা খুলনা শহরে বড় হয়েছিলেন। কাজী গোলাম কিবরিয়া ও কাজী সাহিদা আহমেদ দম্পতির একমাত্র মেয়ে আসমা।  ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে স্কুলে আসা-যাওয়া করতেন। একদিন স্কুল ছুটির পর তার মা নিতে এলেন না। অবশেষে তিনি একাই সাহস করে বাসার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন। হাঁটছেন আর তাকিয়ে দেখছেন আকাশটাকে। আকাশ দেখে তার মনে হলো, তিনি আকাশের শেষ সীমানা দেখবেন। কিন্তু আকাশের শেষ সীমানার দেখা তিনি পাননি। সে দিন তিনি বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হেঁটেছিলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে ধরে নিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়।

আসমা বড় ইকবালনগর গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে স্নাতক করেন। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে এমবিএ করেন। আসমা এখন থাকেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। সেখান থেকে সারা দুনিয়া ঘুরে নাটাই-সুতার টানে ফিরে আসেন বাংলাদেশে। আবার পাখির মতো উড়াল দেন পরবর্তী দেশ দেখাতে।

কাজী আসমা আজমেরী বলেন, ‘ইবনে বতুতা, ঠাকুরমার ঝুলি, তেপান্তরের রাজ্যকন্যার গল্প শুনে আমার শৈশবের কল্পনায় তাদের মনে মনে ভাবতাম। কিন্তু তারপর তাদের ছেড়ে দেওয়া যায় না। তাই আমি স্বাবলম্বী হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।’

জনপ্রিয়তার জন্য নয়, আসমা দেশ ভ্রমণ করেন নিজের শখ থেকে। প্রথম দিকে শখের বশবর্তী হয়ে ভ্রমণ শুরু করলেও এখন আসমা অনুভব করেন, তিনি ভ্রমণের মাধ্যমে নিজ দেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে পারছেন। সেটা তাকে বেশ আনন্দ দেয়। তার ইচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে ১০০টি দেশ ভ্রমণ পূর্ণ করবেন।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১