আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পূর্বঘোষিত সমাবেশ আজ শনিবার। বিকাল ৩টায় রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ও ‘বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত ঠেকাতে’ রাজপথ দখলে রাখতে আজকের সমাবেশ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করবে ১৪ দল।

আগামী মাসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা হলে বিএনপি যাতে রাজপথে সহিংস আন্দোলন করতে না পারে, সে জন্য আগেভাগেই মাঠে থাকার ‘অক্টোবর কর্মসূচি’র ঘোষণা দেওয়া হবে আজকের সমাবেশে। এ ছাড়া ‘ষড়যন্ত্র ঠেকাতে’ ও নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে সক্রিয় অবস্থান নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন জোট। তবে বিরোধীপক্ষের পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি পালন করা হবে না। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক সূত্র জানায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ১০ অক্টোবর ঘোষণা করবেন আদালত। রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত মাঠ দখল করে সহিংসতা চালাতে পারে বলে সরকারের কাছে তথ্য আছে। বিএনপি ও দলটির জোটের শরিকদের নাশকতা প্রতিরোধে অক্টোবর মাসের শুরু থেকে রায়ের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ১৪ দল মাঠে থাকবে।

এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারা দেশে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ।

এদিকে জোটের আজকের সমাবেশে ৭ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। এর আগে ১ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া অক্টোবরজুড়ে ৮ বিভাগীয় শহর ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা ও উপজেলা সফর করবে ১৪ দল। এ কর্মসূচির ঘোষণাও আসতে পারে আজকের সমাবেশ থেকে।

আওয়ামী লীগের অন্য একটি সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপরাজনীতি ও ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি প্রতিহত করতে জনগণকে সজাগ ও সংগঠিত করতে আজকের সমাবেশ থেকে ডাক দেবেন ১৪ দলের মুখপাত্র, আওয়ামী লীগের সভাপতিপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

গত সোমবার অনুষ্ঠিত ১৪ দলের এক বৈঠকে আজকের সমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘২৯ সেপ্টেম্বর ১৪ দলের সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

ইতোমধ্যে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের খবরকে জানান ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। সমাবেশ সফল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীকে হাজির করতে ১৪ দলের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নগর, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৪ দলের শরিক অন্য দলগুলোও নেতাকর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় করে ১৪ দল।