আপডেট : ২৮ September ২০১৮
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বীণা আক্তারকে (১৫) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান গতকাল বৃহস্পতিবার এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আসামিদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছেন। এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে আদালত খালাস দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো আমানুল্লা (২৫), নূরে আলম (৩০) ও কালু মিয়া (৩২)। খালাসপ্রাপ্তরা ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের যথাক্রমে ফজল হক, হাবিবুর রহমান ও মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আমানুল্লা ও নূরে আলম আদালতে উপস্থিত ছিল। তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু মিয়া ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া এবং আসামিপক্ষে হরিদাস কর্মকার স্বপন ও নূরে আলম হীরা মামলাটি পরিচালনা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পিপি গোলাম কিবরিয়া বলেন, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হরিদাস কর্মকার স্বপন বলেন, বিচার সঠিক হয়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে বীণা আক্তারকে বাকাকুড়া গ্রামের নানিবাড়ি থেকে আসামি কালু মিয়া ডেকে নিয়ে যায় এবং অপরাপর আসামিদের হাতে তুলে দেয়। পরে সবাই মিলে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ২১ জুলাই বীণার মরদেহ বাকাকুড়া এতিমখানার পশ্চিম পার্শ্বের শিলঝোড়া খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২১ জুলাই ছাত্রীর মা সবুজা খাতুন বাদী হয়ে আমানুল্লা, নূরে আলম, কালু মিয়া, হারুনুর রশিদ, সুন্দরী বেগম, আনোয়ার হোসেন আনু ও বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আবদুল করিম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১