বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৭ September ২০১৮

আগামী মন্ত্রিসভায় উঠছে কোটা বাতিলের প্রস্তাব

সংসদ ভবন সংরক্ষিত ছবি


প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা তুলে দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে করা কমিটির সুপারিশ উঠবে মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে। আর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিধি) আবুল কাশেম মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, কোটা নিয়ে কমিটির দেওয়া সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের কাছে এসেছে। মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য আমরা সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েও দিয়েছি। আশা করছি আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে সেটি অনুমোদনের জন্য উঠবে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। আগামী সোমবার তার দেশে ফেরার কথা। ওইদিন মন্ত্রিসভা বৈঠক হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ১ অক্টোবর না হলে পরবর্তী মন্ত্রিসভা বৈঠক হবে আগামী ৮ অক্টোবর। আগামী ডিসেম্বরের শেষে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অক্টোবরেই হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার। আর ওই সরকার কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। ফলে কোটা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত এর আগেই নিতে হবে।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের মোট ৫৬ শতাংশ হয় কোটায়। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য, ১০ শতাংশ করে জেলা ও নারী কোটা, পাঁচ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা এবং এক শতাংশ সংরক্ষিত আছে প্রতিবন্ধীদের জন্য।

কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে সুপারিশ দিতে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি হয়। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিতে না পারায় তিন মাস সময় বাড়ানো হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সব কোটা তুলে দেওয়ার সুপারিশ তারা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছেন।

কোটা পর্যালোচনা কমিটির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবুল কাশেম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা জাস্ট সুপারিশটাই মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য পাঠিয়েছি। সেখানে নতুন করে কিছু যুক্ত করা হয়নি। এখন মন্ত্রিসভা যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটার ওপর ভিত্তি করেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধা কোটার আওতায় সন্তানদেরও আনা হয়। এরপর জামায়াত-শিবিরের অনুসারীরা এ কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামার চেষ্টা করে। সে সময় এবং এরপর আরো তিন দফা সে চেষ্টা ভণ্ডুল হয়। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। গত ৮ থেকে ১১ এপ্রিল নানা ঘটনার পর ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কোটা থাকবে না। তবে গত ১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায় রয়েছে। এখন এটি বাতিল হলে তিনি আদালত অবমাননায় পড়বেন।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১