বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৬ September ২০১৮

পর্যটনের পাশ্ববর্তী দেশ হতে পারে আমাদের সহায়ক শক্তি : এ কে এম বারী

এ কে এম বারী সংগৃহীত ছবি


আন্তর্জাতিক সব ব্যবসার ক্ষেত্রে ভারত আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু পর্যটনের ক্ষেত্রে তারা হবে আমাদের বড় ধরনের সহায়ক শক্তি। এ সুযোগটি আমাদের কোনোভাবেই হাতছাড়া করা উচিত নয়। আমরা যেসব দেশের পর্যটকের আগমনের জন্য মুখিয়ে থাকি অর্থাৎ ইউরোপ ও আমেরিকা, সেসব দেশ বাংলাদেশে সামান্য কোনো ঘটনা ঘটলেই লাল, নীল, হলুদ সতর্ক ভ্রমণবার্তা তাদের নাগরিকদের জন্য জারি করে। কিন্তু ভারত আমাদের দেশে এ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সতর্কবার্তা জারি করেনি এবং ভবিষ্যতে করবে বলে মনে করি না। তাই ভারতকে আমাদের প্রধান বাজার হিসেবে চিহ্নিত করে সেই বাজারে কাজ করার জন্য আমাদের সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত। মালয়েশিয়ান ট্যুরিজম বোর্ড সমগ্র ভারতে ৮টি অফিসের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইদানীং অস্ট্রেলিয়াও ভারতীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের দ্বিতীয় বাজার হতে পারে চীন, যেটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিদেশ ভ্রমণকারী (out bound) পর্যটকের দেশ। চীন সরকার বাংলাদেশকে approved destination হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ পর্যন্ত চীনা দূতাবাসও বাংলাদেশের কোনো ঘটনায় তাদের নাগরিকদের জন্য কোনো ভ্রমণ সর্তকবার্তা জারি করেনি। ২০১৬ সালে ১২২ মিলিয়ন বা ১২ কোটির বেশি পর্যটক চীনের বাইরে ভ্রমণ করেছে। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশ বা ১০ কোটি ৮০ লাখ পর্যটকই প্রতিবেশী দেশ অথবা এশিয়ার মধ্যে ভ্রমণ করেছে। এদের ৬০ লাখ পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছে। আমরা এদের আগমনী ভিসার সুবিধা প্রদান করেছি। আমার ধারণা, এটি কাগজপত্রেই আছে। চীন সরকার এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানে না বলে এটির সুফল আমরা এখনো পাইনি। চীনের কুনমিং থেকে আমাদের কক্সবাজারের আকাশপথে দূরত্ব মাত্র ৫৫ মিনিটের। কক্সবাজার বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হলে এবং আগমনী ভিসায় বার্তাটি সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারলে চীন থেকেও কম করে ৫ লাখ পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারে।

আমাদের তৃতীয় পর্যটকের বাজার হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী অনাবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা। বাংলাদেশের কোনো ঘটনাই বাংলার সন্তানদের এ দেশের ভ্রমণ থেকে বিরত করবে না। তাই আমাদের অনাবাসী বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যেসব অনাবাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তাদের সঠিকভাবে বাংলাদেশ ভ্রমণে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে বছরে এদের মধ্য থেকেও অন্তত ৫ লাখ বাংলাদেশি তার নিজ দেশ ভ্রমণে আকৃষ্ট হবে। এরাই হবে সবচেয়ে বেশি খরচকারী পর্যটক। এদের বেশিরভাগ যদিও মা-বাবা বা অন্য নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে থাকবে, তবু বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও দাতব্য কাজে তারা অর্থ ব্যয় করবে। গড়ে এরা প্রত্যেকে ২ হাজার ডলার খরচ করলে এদের থেকে আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ বিলিয়ন ডলার। পর্যটনের যথাযথ সুফল প্রাপ্তির জন্য এ তিনটি বাজারের প্রতিই আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

লেখক : চেয়ারম্যান, ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল ফর ট্যুরিজম বোর্ড অ্যান্ড হসপিটালিটি সেক্টর


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১