আপডেট : ২৪ September ২০১৮
বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্য খালাসে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে দুদিন ধরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তাদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে গত শনিবার দুপুরের পর থেকে ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসেনি, জানিয়েছেন বেনাপোল শুল্ক ভবনের চেকপোস্ট কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অলি উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘শনিবার দুপুর পর্যন্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। দুপুরের পর হঠাৎ পেট্রাপোল বন্দর থেকে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।’ বেনাপোলে পণ্য ওঠানামাসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। অলি উল্লাহ বলেন, পেট্রাপোল থেকে পণ্য ছাড়লে বেনাপোলে তা গ্রহণ করতে কোনো সমস্যা নেই। পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, দুই বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত সপ্তাহে পেট্রাপোলে দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা একমত হয়ে পাঁচ দফা দাবি মেনে নেন। কিন্তু পরে বেনাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা ওই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে থাকে। এর প্রতিবাদ জানাতেই আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের পাঁচ দফা দাবি- রসিদ ছাড়া টাকা না নেওয়া, রসিদে কাটাছেঁড়ার অভিযোগে ট্রাক আটকে না রাখা, পার্কিং ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না নেওয়া, বন্দরে খালি ট্রাকে চার চাকার গাড়িতে ৮০০, ছয় চাকার গাড়িতে ১ হাজার ২০০, দশ চাকার গাড়িতে ১ হাজার ৭০০ এবং বারো চাকার গাড়িতে ২ হাজার এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন জানান, আমদানি পণ্য খালাসে তারা ‘নিয়ম মেনেই’ খরচের টাকা নিচ্ছেন। বাণিজ্য সচল করতে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১