আপডেট : ১২ September ২০১৮
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের পরামর্শক দেবপ্রসাদ দেবনাথ গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের অনানুষ্ঠানিকভাবে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করবে বাংলাদেশ।’ যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার পার্ক জিউন হিউক জড়িত। তার বিরুদ্ধে দেশটির আদালত এরই মধ্যে অভিযোগ গঠন করেছে। দেবপ্রসাদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনটি আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আমরা এটি নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পর্যালোচনা করছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারের নাম উঠে আসায় বাংলাদেশের জন্য মামলা দায়ের আরো সহজ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আইন মোতাবেক এমন ঘটনায় মামলা করতে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় পাওয়া যায়। সে হিসাবে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আদালতে যেতে হবে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেছিলেন, ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক করপোরেশন (আরসিবিসি) মানি লন্ডারিং করেছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ও অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান সুইফটকে বাংলাদেশ মামলায় বাদী হিসেবে চায়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয়। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ওই বছরের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা। ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় আগামী ২ অক্টোবর। নির্দিষ্ট সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ফিলিপাইন আদালতের আদেশের মাধ্যমে ফেরত আনা গেছে। এছাড়া ফিলিপাইনের আরসিবিসি বাংলাদেশ ব্যাংককে দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন ডলার ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই ফেরত দিয়েছে। আর ঘটনার পরই ২০ মিলিয়ন ডলার ফেরত আসে শ্রীলঙ্কা থেকে। এদিকে ফিলিপাইন সরকার সম্প্রতি রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে। অর্থমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠির জবাব প্রস্তুত করতে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠির জবাবে একটি সারসংক্ষেপ পাঠাবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির সেই প্রতিবেদন ফিলিপাইনকে দেওয়া হবে না।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১