আপডেট : ০৯ September ২০১৮
নগরীর ভোগড়া এলাকায় অবস্থিত নারী ও শিশু হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র থেকে জানালা ভেঙে পালিয়ে যাওয়া ১৭ কিশোরীর মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ওই কিশোরীরা গত শুক্রবার রাতে কক্ষের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়। কারণ অনুসন্ধানে গাজীপুর জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই জয়দেবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কেন্দ্রের পেছনের রাস্তা থেকে একজন ও বাসন সড়ক এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করে। এরা হলো নদী, লুৎফুন, আফিয়া ও চামেলী। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর রেলস্টেশনের কাছ থেকে গতকাল শনিবার আরো ৮ কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হলো রাইজু, রিনা, সুরমা, জিয়াসমিন, শাবানা, বৃষ্টি, তানিয়া ও লামিয়া। তারেক তালুকদার নামে এক কিশোর তাদের মির্জাপুরে নিয়ে আসে। সে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা উপজেলার তিন নান্দিনা গ্রামের আবদুল হাই তালুকদারের ছেলে। হেফাজত কেন্দ্রের সুপার জোবাইদা খাতুন বলেন, কিশোর অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোরীদের এখানে রাখা হয়। বর্তমানে হেফাজতে আছে ৩৪ কিশোরী। তাদের মধ্যে ১৭ জন শুক্রবার রাতে পালিয়ে যায়। তারা কীভাবে পালাল সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার ২০৫ নম্বর কক্ষের কয়েকজন বন্দি লোহার খাটের পায়া দিয়ে জানালার গ্রিল ভেঙে ফেলে। তারা বিছানার চাদর ও ওড়না বেঁধে বেয়ে নিচে নেমে বিচ্ছিন্নভাবে পালিয়ে যায়। রাত ১২টার দিকে পরিদর্শনে গেলে ঘটনা ধরা পড়ে।’ আটক ৮ কিশোরীর ব্যাপারে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, ‘সেফ হোম থেকে পালিয়ে তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যায়। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি ট্রেনে ওঠে। ট্রেনে তারেক নামে এক হোটেল কর্মচারীর সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। গতকাল শনিবার মির্জাপুর রেলস্টেশনের কাছে তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন রোহিঙ্গা ভেবে ৮ কিশোরী ও তারেককে আটক করে পুলিশে দেয়।’ তাদের পালানোর খবর জানতে পেরে আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বলে তিনি জানান। ঘটনার পর মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, গাজীপুর জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এদিকে এমন ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। তিনি বলেন, পলাতক অন্য পাঁচজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১