আপডেট : ০৪ September ২০১৮
কক্সবাজারের টেকনাফে একটি রোহিঙ্গা শিবিরের পাশের পাহাড় থেকে তিন রোহিঙ্গাকে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুলের পাহাড়ের ভেতর থেকে তাদের উদ্ধার করা করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রথমে তাদের এনজিও পরিচালিত একটি হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন- বালুখালী শিবিরের ‘ই’ ব্লকের সাইদ হোসেনের ছেলে নুর আলম (৪৫), ৩ নম্বর ব্লকের আবদুল গাফফারের ছেলে মো. আনোয়ার (৩৩) ও কুতুপালং ‘ডি’ ব্লকের জামাল মোস্তফার ছেলে মো. খালেক (২২)। গত রোববার রাত ২টার দিকে ওই তিনজনসহ মোট ছয়জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহূত বাকি তিনজন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জের অফিসে হাজির হন। এদের মধ্যে একজন আহত খালেকের বাবা মোস্তফা। তারা অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানান। টেকনাফ থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘উখিয়ার বালুখালী শিবির থেকে রাত ২টায় তাদের অপহরণ করে হোয়াইক্যং পাহাড়ে আনা হয়।’ তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্রমিক হিসেবে কাজ দেওয়ার কথা বলে বালুখালী শিবিরের ছয় রোহিঙ্গাকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে তুলে নেওয়া হয়। তাদের প্রথমে চাকমারকুল আশ্রয় শিবিরে ও পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় পাশের পাহাড়ের জঙ্গলে। সম্ভবত মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ভয় দেখাতে তিন রোহিঙ্গার গলা অল্প করে কাটা হয়েছিল। হত্যার পরিকল্পনা থাকলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। স্থানীয়রা জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র বালুখালী ও কুতুপালং আশ্রয় শিবির থেকে তাদের ধরে চাকমারকুল শিবিরের পশ্চিমে গহীন পাহাড়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় রাখালরা গ্রামবাসী ও রোহিঙ্গাদের খবর দেয়। এরপর এলাকাবাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গলা কাটা অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১