বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৫ August ২০১৮

ম্যাডামের মনোবল অত্যন্ত শক্ত আছে: ফখরুল

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে কারাফটকের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল সংগৃহীত ছবি


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ হলেও মনোবল শক্ত আছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলাপ শেষে কারাফটকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ম্যাডাম শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ আছেন, বেশ অসুস্থ। আমি আগে তাকে দেখেছি, তার চাইতে অবস্থা এখন ভালো নয়। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি ব্যথায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন। তবে ম্যাডামের মনোবল অত্যন্ত শক্ত আছে। উনি দেশবাসীকে মনোবল দৃঢ় রাখতে বলেছেন।”

জনগণের উদ্দেশ্যে খালেদার কোনো বার্তা আছে কিনা-প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ম্যাডাম বলেছেন তারা যেন সজাগ থাকে, সচেতন থাকে। গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম চলছে সেই সংগ্রাম যেন অব্যাহত রাখে তারা।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি ম্যাডামকে এভাবে দেখব চিন্তাই করতে পারিনি। এটা আমার জন্য বেদনার। ঈদের দিন বাসার খাবারের প্রতীক্ষায় তিনি দীর্ঘ সময় কোনো খাবার খাননি। পরে আইজি প্রিজনের অনুরোধে সন্ধ্যায় খাবার খেয়েছেন।”

সাক্ষাতে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।”

ফখরুল জানান, দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিষয়টি স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জানাতে রাতে গুলশানের কার্যালয়ের বৈঠকে রয়েছে।

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও মহাসচিবের একান্ত সহকারি ইউনুস আলী উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৩ অগাস্ট স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে ঈদের দিন সাক্ষাতের জন্য ১৩ জন নেতার তালিকা দিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু ঈদের দিন তাদের সাক্ষাৎ মেলেনি। আজ দুপুরের দিকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তারের মাধ্যমে মির্জা ফখরুলের সাক্ষাতের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর মহাসচিব বিষয়টি নিয়ে লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পরামর্শক্রমের একাই সাক্ষাতের জন্য কারাগারে যান ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব সর্বশেষ গত ৬ এপ্রিল কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একা সাক্ষাৎ করেছিলেন। তবে মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ৭ মার্চ ও ২৮ এপ্রিল দুই দফায় খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

৮ ফেব্রয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর থেকে খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি রয়েছেন। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে এই কারাগারে থাকা খালেদা এবার দ্বিতীয় ঈদ কাটালেন। দুর্নীতি ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা, ইতিহাস বিকৃতি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি, ভুয়া জন্মদিন পালনের মত অভিযোগে মোট ৩৪টি মামলা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ৩১টিতে জামিন পেলেও বাকি তিনটিতে না হওয়া পর্যন্ত খালেদার কারামুক্তি ঘটছে না বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এর আগে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের পর সংসদ ভবনে স্থাপিত উপ-কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছিল। সেখানেও তার কাটাতে হয়েছিল দুটি ঈদ।

 

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১