আপডেট : ০৭ August ২০১৮
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে জারি করা ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট অধিক জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়। বুলেটিনে বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (২১.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ রাতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। বুলেটিনে আরো বলা হয়, মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচলের পাশাপাশি তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১