আপডেট : ০৬ August ২০১৮
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে আছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি মোটরসাইকেলের লাইসেন্স পরীক্ষা করছে তারা। লাইসেন্স ঠিক থাকলে চালককে চকলেট উপহার দিচ্ছে। হেলমেট না থাকলে আগামী দিন থেকে হেলমেট ব্যবহারের অনুরোধ করছে। আর রিকশাগুলো চলছে সারিবদ্ধ লাইন ধরে। ট্রেনের বগির মতো একটার পেছনে আরেকটা। ওয়ানওয়ে এই সড়কে বিপরীত দিক থেকে কোনো বাহনই আসতে দিচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে যখন এই বিরল শৃঙ্খলা তখন বিপরীত চিত্র নগরীর উপশহর-সোবহানীঘাট সড়কে। এই সড়কে নৈরাজ্য চালাচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। উপশহর মোড়ে লাঠিসোটা হাতে অবস্থান নিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। মূলত এরা বাসের চালক ও সহকারী। রিকশা আর মোটরসাইকেল ছাড়া সব ধরনের যান চলাচলেই বাধা দিচ্ছে তারা। অটোরিকশা, মাইক্রোবাস এমনকি প্রাইভেটকারও সড়কে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। হঠাৎ কোনো অটোরিকশা দেখলেই লাঠি হাতে দৌড়ে তেড়ে যাচ্ছে শ্রমিকরা। ফলে রিকশাছাড়া আর কোনো যানবাহনই নেই সড়কে। শুধু এই সড়ক নয়, শনিবার সকাল থেকে সিলেট নগরীর বেশিরভাগ সড়কই ছিল পরিবহন শ্রমিকদের দখলে। তাদের নৈরাজ্যের কারণে সড়কে নেই কোনো যানবাহন। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববারও সিলেটের দুটি বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। আন্তঃজেলা ও দূরপালার কোনো বাসই চলাচল করেনি। শ্রমিক নেতারা নিরাপত্তাজনিত কারণে বাস চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানালেও কয়েকজন শ্রমিক জানিয়েছেন, সড়ক নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি চালকের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখার প্রতিবাদে অঘোষিত ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। এই আইন শিথিল করার দাবি তাদের।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১