বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৩ August ২০১৮

সিলেটে পরকীয়ার জেরেই ট্রিপল মার্ডার!

ঘাতক হাসান স্ত্রী জনি বেগম সংরক্ষিত ছবি


সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়ায় গত সোমবার তালাবদ্ধ বাসা থেকে মা ও দুই মেয়েসহ তিনজনের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে ঘাতক হাসান স্ত্রী জনি বেগম (৩০), দুই সন্তান মিম খানম (১৫) ও তাসিনকে (১৩) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়ার ওই এলাকার অনেকের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।

বাসার কেয়ারটেকার এরশাদের স্ত্রী বলেন, তাদের পূর্বপরিচিত গোপালগঞ্জ থেকে আসা হাসান-জনি দম্পতি সিলেট বেড়ানোর কথা বলে তাদের পাশের ফাঁকা কক্ষে কয়েক দিন থেকে অবস্থান করে আসছিল। অতিপ্রয়োজন ছাড়া তারা কারো সঙ্গে তেমন কথা বলত না। ওই কক্ষের পাশের আরেক প্রতিবেশী মিলি বেগম অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতে সকালে বের হয়ে বিকালে ফেরেন। তিনি জানান, এরশাদের কক্ষে বেড়াতে আসা দম্পতি বা তাদের বাচ্চাদের কোনো সময় তাদের কক্ষের বাইরে দেখা যায়নি। এমনকি তাদের কথাবার্তা পর্যন্ত শোনা যেত না। সপ্তাহখানেক থেকে তারা অবস্থান করলেও কখনো তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়নি।

এদিকে উদ্ধার করা মা ও দুই সন্তানের গলিত মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকালে নিহত জনি বেগমের ভাই বাদশা মিয়ার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তিনজনকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আলামত পাওয়া গেছে। নিহতের ভাই মরদেহ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কমলপুরে নিয়ে যান। সেখানে গত বুধবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয় বলে জানা গেছে।

ট্রিপল মার্ডার ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন হাসান মুন্সী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। হাসান মুন্সীকে প্রধান আসামি করে সঙ্গে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে রেখে দক্ষিণ সুরমা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই বাদশা মিয়া।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই লোকমান হোসেন জানান, এটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। স্ত্রী ও দুই সন্তানের ঘাতক হাসান মুন্সী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে হত্যার মূলরহস্য জানা যাবে। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল এ প্রতিবেদককে বলেন, হাসান নারী সম্পর্কে জড়িয়ে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই বেলা ১১টায় দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া এলাকার ডি ব্লকের একটি বাসার তালা ভেঙে বাথরুমের ভেতর থেকে গলিত তিনটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হচ্ছে- জনি বেগম ও মেয়ে মিম খানম ও তাসিন। তারা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১