আপডেট : ০২ August ২০১৮
                                
                                         ১৯৭৫ সালের ১ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত দু’সপ্তাহ ধরে দিনেরাতে খুব ব্যস্ত ছিলেন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সরকারি কর্মসূচির বাইরেও নবগঠিত দল বাকশালের পূর্ণাঙ্গ সেটআপ তৈরিতেও ব্যস্ত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি খুনিরাও ব্যস্ত ছিল তাদের অপতৎপরতায়। শেষের দিনগুলোতে খুনিদের সহযোগী, পরামর্শকরাও দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। দাফতরিক কাজের আড়ালে তারা মূলত ঘটনার রেকি করতেই ঘন ঘন বঙ্গবন্ধুর কাছে আসতেন। ১৫ আগস্টের পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য। এই জঘন্য হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেপথ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে জড়িত ছিলেন দেশি-বিদেশি অনেক কুশীলব। ষড়যন্ত্রের সেসব তথ্য প্রকাশ পায় পড়ে। ১৫ আগস্টের আগে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ১৪ দিনের সরকারি কর্মসূচির তালিকা পর্যালোচনা করলে বিস্ময় জাগে যে, শেষের সেই দিনগুলোতে ব্যাপক ব্যস্ততার মধ্যে বিচিত্র সব মানুষের সংস্পর্শে কেটেছে রাষ্ট্রপতি মুজিবের দিনকাল। শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন এমন লোকজন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা শেষ দিনগুলোতেও তাকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেননি। নানামুখী চাপে জর্জরিত রেখেছিলেন তাকে। বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করা যায়, বঙ্গবন্ধুর এই শেষ সময়ের সাক্ষাৎপ্রার্থী, যারা নেতার সান্নিধ্য পেতে ভিড় করেছিলেন তাদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের পর তার খুনি ও শত্রুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ ও হাতে হাত মিলিয়েছেন। এদের অনেকেই খন্দকার মোশতাক সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। অথচ এরা বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিপরিষদেও ছিলেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১