আপডেট : ৩১ July ২০১৮
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে হানিফ কাউন্টার ঘেরাও করেছে পায়েলের স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরের গরীবুল্লাহ শাহ শাহ মাজার গেইট এলাকায় হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ঘেরাও করা হয়। এ সময় তারা প্রতিবাদ সমাবেশেরও আয়োজন করে। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, পায়েলকে চালক ও হেলপাররা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। পায়েল দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেনি। বক্তারা এসময় এ মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির আবেদন জানান। পায়েলের বাবা গোলাম মাওলা বলেন, পায়েলের হত্যাকারীদের ফাঁসির মাধ্যমে সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে আর কেউ নৃশংসভাবে কাউকে হত্যা করতে না পারে। দৈনিক সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সারোয়ার সুমনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বেলায়েত হোসেন, নগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দীন বাচ্চু, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি। এর আগে গত ২১ জ্লুাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বাস থেকে নেমে প্রাকৃতিক কাজ সারতে যান পায়েল। তাকে ফেলে বাসটি ছেড়ে দেওয়ায় দৌড়ে বাসে ওঠার চেষ্টা করে পায়েল। এ সময় বাসের দরজার সাথে পায়েলের পা আটকে যায়। পায়েল ঝুলে যায় দরজার বাইরে। পরে বাস চালক বাসটি থামিয়ে পায়েলকে বাসের পেছনে নিয়ে যায়। রাস্তার পাশেই গুরুতর আহত পায়েলকে বাস চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে ইট দিয়ে থেথলে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেয়। ২৩ জ্লুাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া এলাকার ওই ডোবা থেকে পায়েলের মরদেহ উদ্ধার কওে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সারোয়ার বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন (৩৫), সুপারভাইজার জনি (৩৮) ও হেলপার ফয়সালকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৫ জুলাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তারা। গ্রেফতারের পর জনি ও জামালের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার বিবরণ উঠে আসে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১