বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩১ July ২০১৮

‘নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চাই মা’

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলায় শিক্ষার্থীদের ওপর বাস তুলে দিয়ে দুজনকে নিহতের ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংরক্ষিত ছবি


যাত্রীদের জন্য সড়ক কতটা অনিরাপদ তা আবারো স্পষ্ট করল রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলায় শিক্ষার্থীদের ওপর বাস তুলে দিয়ে দুজনকে নিহতের ঘটনা। বাসা থেকে ক্লাসের উদ্দেশে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা আবার বাসায় ফিরবে কি না তা জানে না কেউ। এ অবস্থায় রাস্তায় নেমে নিরাপদ সড়কের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার পরদিন গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবরোধ, মানববন্ধন ও প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা। এ দিন বাড্ডায় প্রগতি সরণিতে মানববন্ধন করে গুলশান কমার্স কলেজের শত শত শিক্ষার্থী। এ সময় তারা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড তুলে ধরে। ‘মা, আমি নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চাই’, ‘হে সড়ক, আর কত প্রাণ ঝরাবে তুমি?’, ‘স্টপ কিলিং! মাই মম ইজ ক্রাইং’- এমন নানা স্লোগান লিখিত প্ল্যাকার্ড ছিল তাদের হাতে।

শিক্ষার্থীরা এ সময় মিম ও রাজীবের হত্যাকারী ঘাতক বাসচালকের শাস্তি দাবি করে। গুলশান কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী বাহাউদ্দিন বলেন, ‘সড়কগুলো ক্রমশই লাশের ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই আরেকটি রক্তের দাগ এসে আরো লাল করে দিচ্ছে। বাসা থেকে বের হলেই বাবা-মা চিন্তা করেন। নিজেও অস্থির থাকি বেপরোয়া গাড়ির কবলে পড়ে জীবনের বিনাশ ঘটবে না তো।’

একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এত কান্না। তবুও রাষ্ট্রের কর্তাদের ঘুম ভাঙছে না। আর কত লাশ পড়লে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হবে?’ তিনি আরো বলেন, ‘ঘাতক চালকদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলেই দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। আর যেন কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ অকারণে ঝরে না যায়, এজন্যই আমরা আজ (সোমবার) ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১