বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩১ July ২০১৮

আসামে নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ ৪০ লাখ মানুষ

তীব্র প্রতিক্রিয়া মমতার

ভারতীয় নাগরিকত্বের খসড়া তালিকা থেকে আসামের প্রায় ৪০ লাখ লোকের নাম বাদ সংগৃহীত ছবি


ভারতীয় নাগরিকত্বের খসড়া তালিকা থেকে আসামের প্রায় ৪০ লাখ লোকের নাম বাদ দিয়েছে ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন (এনআরসি)। তবে এখনই কাউকে গ্রেফতার কিংবা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছে এনআরসি কর্তৃপক্ষ। এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে লাখ লাখ লোককে নিজ দেশে উদ্বাস্তুতে পরিণত করছে। এনডিটিভি ও বিবিসির খবর।

গতকাল সোমবার খসড়া তালিকা প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ বলে, এখনই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তালিকায় যারা জায়গা পাননি, তারা আবারো আবেদন করতে পারবেন। সুতরাং এখনই কাউকে গ্রেফতার অথবা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে না। এ অবস্থায় আসামজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে। ভারতে আসামই একমাত্র রাজ্য যেখানে বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিভিন্ন নথিপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিবন্ধিত হতে হয়।

এনআরসি কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ২ কোটি ৮৯ লাখ লোক তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন। তবে যথাযথ নথি ও তথ্য-উপাত্ত দিতে না পারায় ৪০ থেকে ৪১ লাখ অসমীয় ভারতীয় নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

এর আগে ১৯৫১ সালে এক জরিপ চালানোর পর প্রথমবারের মতো এনআরসি তালিকা প্রস্তুত করে আসামে। ওই সময় আসামের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৮০ লাখ। পরে ২০০৫ সালে রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় এক চুক্তি স্বাক্ষরের পর এই তালিকা হালনাগাদ করা হয়। এরপর আবারো এনআরসি তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করলে রাজ্যজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে হালনাগাদ কাজ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। পরে ২০০৯ সালে আসাম পাবলিক ওয়ার্ক নামের একটি বেসরকারি সংস্থার করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ফের কাজ শুরুর নির্দেশ দেন।

এদিকে এই নাগরিকপঞ্জি থেকে ৪০ লাখ লোককে বাদ দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের অঙ্ক কষেই আসাম থেকে বাঙালিদের বিতাড়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মমতা বলেন, নাম ও পদবি দেখে বেছে বেছে বাদ দেওয়া হচ্ছে। পুরোটাই নির্বাচনী ‘গেম প্ল্যান’। বিজেপি সরকার বাংলায় ডিভাইড অ্যান্ড রুল চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আসামে বাঙালিরা আক্রান্ত হলে পশ্চিমবঙ্গের ওপর চাপ পড়বে। তাই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের আগে আমার সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। অবিলম্বে তিনি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। প্রয়োজনে তিনি নিজেও আসাম যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১