আপডেট : ৩১ July ২০১৮
এর আগে এমন অশান্তির নজির নেই। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় মোট ১৩৪টি কেন্দ্র্রের মধ্যে দুপুরে দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়। আওয়ামী লীগ অবশ্য বলছে, সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। দুপুরে ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জন করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে আবেদন করেন। বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক একে ‘মীরজাফরের ভোট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি এই ভোট প্রত্যাখ্যান করেন। এবার ভোটার ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২। ২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত : ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। দুপুরে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শাহগাজী সৈয়দ বোরহান উদ্দিন (রহ.) মাদরাসা (১১৬) ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৩৪) কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয় বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জমান। ২৬নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ সুরমার রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথের দরজা বন্ধ করে জাল ভোট দেওয়ার দায়ে তিন যুবককে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়। সিলেটের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, সহকর্মী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান বেলা দেড়টার দিকে শাহজালাল উপশহর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় তার গাড়িতে ঢিল পড়লে কাচ ভেঙে মতিউর আহত হন। বেলা ১টার দিকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী ঠেলাগাড়ি প্রতীকের এসএম শওকত আমীন তৌহিদ ও ঘুড়ি প্রতীকের দিনার খান হাসুর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে তৌহিদের ভাই ফাহাদ ও হাসুর ভাই তালহা গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার আবুল কাশেম বলেন, তারা ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছেড়ে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকে। বেলা ১১টার দিকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সাজেদ আহমেদ চৌধুরী বাপনের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় মীরাবাজারের মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রে প্রায় ৪৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। তবে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কাজী আশিকুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। মীরাবাজারের মডেল স্কুল কেন্দ্রে গোলযোগ চলার সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুজন আহত হয়েছে। কামরান সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে তাকেও নাজেহাল করা হয়েছে। নগরীর কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজী জালালউদ্দিন বিদ্যালয়, পাঠানটুলা জামেয়া মাদরাসা, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা, এমসি কলেজসহ কিছু কেন্দ্রে ভোটে সমস্যা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের দেখা যায়নি। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১০টার পর ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অনেকে অভিযোগ করেন, ভোট দিতে গেলে তাদের বলা হয়েছে ‘ভোট হয়ে গেছে’। বেলা সোয়া ২টার দিকে উপশহর এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে টেবিলের ওপর ব্যালট পেপারের একটি বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখা যায়। বান্ডিলের সব ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ছিল। কয়েকটা ব্যালটে ধানের শীষেও সিল মারা দেখা যায়। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সৈয়দুর রহমানের কক্ষে গিয়ে তার টেবিলেও নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপারের বান্ডিল দেখা যায়। তিনি বলেন, সকাল থেকে ভালোই ভোট হচ্ছিল। ১২টার দিকে হঠাৎ করে একদল লোক অতর্কিতে হামলা করে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স নিয়ে যায়। ঘণ্টা দেড়েক পর আবার দিয়ে গেছে। নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আম্বরখানা দরগা গেট প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী জাল ভোট দিচ্ছিল। প্রথম আলোর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মিসবাহ সেই ছবি তুলছিলেন। তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর এসআই নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকজন সদস্য এসে মিসবাহকে পেটাতে থাকে। ছাত্রলীগ কর্মীরাও তাতে অংশ নেয়। হামলায় মিসবাহর পিঠ ও ডান হাতের কিছু অংশ ফেটে যায়। পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা মিসবাহর মোবাইল ফোন থেকে জাল ভোট দেওয়ার ভিডিও মুছে ফেলে। আহত সাংবাদিক এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উপশহরে ৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন : ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই নির্বাচন বর্জন করে ভোট স্থগিতের আবেদন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. দিদার হোসেন রুবেল বলেন, জোর করে কেন্দ্র দখলের প্রতিবাদে ৫ কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জন ও নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেছি। এর আগে এমন অশান্তির নজির নেই। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় মোট ১৩৪টি কেন্দ্র্রের মধ্যে দুপুরে দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়। আওয়ামী লীগ অবশ্য বলছে, সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। দুপুরে ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জন করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে আবেদন করেন। বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক একে ‘মীরজাফরের ভোট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি এই ভোট প্রত্যাখ্যান করেন। এবার ভোটার ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২। ২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত : ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। দুপুরে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শাহগাজী সৈয়দ বোরহান উদ্দিন (রহ.) মাদরাসা (১১৬) ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৩৪) কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয় বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জমান। ২৬নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ সুরমার রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথের দরজা বন্ধ করে জাল ভোট দেওয়ার দায়ে তিন যুবককে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়। সিলেটের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, সহকর্মী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান বেলা দেড়টার দিকে শাহজালাল উপশহর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় তার গাড়িতে ঢিল পড়লে কাচ ভেঙে মতিউর আহত হন। বেলা ১টার দিকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী ঠেলাগাড়ি প্রতীকের এসএম শওকত আমীন তৌহিদ ও ঘুড়ি প্রতীকের দিনার খান হাসুর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে তৌহিদের ভাই ফাহাদ ও হাসুর ভাই তালহা গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার আবুল কাশেম বলেন, তারা ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছেড়ে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকে। বেলা ১১টার দিকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সাজেদ আহমেদ চৌধুরী বাপনের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় মীরাবাজারের মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রে প্রায় ৪৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। তবে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কাজী আশিকুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। মীরাবাজারের মডেল স্কুল কেন্দ্রে গোলযোগ চলার সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুজন আহত হয়েছে। কামরান সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে তাকেও নাজেহাল করা হয়েছে। নগরীর কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজী জালালউদ্দিন বিদ্যালয়, পাঠানটুলা জামেয়া মাদরাসা, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা, এমসি কলেজসহ কিছু কেন্দ্রে ভোটে সমস্যা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের দেখা যায়নি। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১০টার পর ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অনেকে অভিযোগ করেন, ভোট দিতে গেলে তাদের বলা হয়েছে ‘ভোট হয়ে গেছে’। বেলা সোয়া ২টার দিকে উপশহর এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে টেবিলের ওপর ব্যালট পেপারের একটি বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখা যায়। বান্ডিলের সব ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ছিল। কয়েকটা ব্যালটে ধানের শীষেও সিল মারা দেখা যায়। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সৈয়দুর রহমানের কক্ষে গিয়ে তার টেবিলেও নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপারের বান্ডিল দেখা যায়। তিনি বলেন, সকাল থেকে ভালোই ভোট হচ্ছিল। ১২টার দিকে হঠাৎ করে একদল লোক অতর্কিতে হামলা করে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স নিয়ে যায়। ঘণ্টা দেড়েক পর আবার দিয়ে গেছে। নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আম্বরখানা দরগা গেট প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী জাল ভোট দিচ্ছিল। প্রথম আলোর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মিসবাহ সেই ছবি তুলছিলেন। তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর এসআই নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকজন সদস্য এসে মিসবাহকে পেটাতে থাকে। ছাত্রলীগ কর্মীরাও তাতে অংশ নেয়। হামলায় মিসবাহর পিঠ ও ডান হাতের কিছু অংশ ফেটে যায়। পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা মিসবাহর মোবাইল ফোন থেকে জাল ভোট দেওয়ার ভিডিও মুছে ফেলে। আহত সাংবাদিক এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উপশহরে ৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন : ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই নির্বাচন বর্জন করে ভোট স্থগিতের আবেদন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. দিদার হোসেন রুবেল বলেন, জোর করে কেন্দ্র দখলের প্রতিবাদে ৫ কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জন ও নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেছি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১