আপডেট : ৩০ July ২০১৮
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জন্য ২ হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। রাজধানীর গুলশান-২ এর ডিএনসিসি’র কার্যালয়ে আজ বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এই বাজেট ঘোষণা করেন ডিএনসিসি’র প্যানেল মেয়র ওসমান গনি। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ওসমান গনি বলেন, ‘এই অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ।’ মেয়র বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিজস্ব আয়ের অন্যতম খাত হল হোল্ডিং ট্যাক্স। মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ এই খাত থেকে আসবে। এছাড়া বাজার সালামী বাবদ ৫০ কোটি টাকা ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৬০ কোটি টাকা, বাজার ভাড়া বাবদ ১০ কোটি টাকা, রিক্সা লঅইসেন্স ফি বাবদ ১ কোটি টাকা, বাস, ট্রাক টার্মিনাল থেকে ৮ কোটি টাকা, বিজ্ঞাপন বাবদ ৭ কোটি টাকা, গরুর হাট থেকে ২৫ কোটি টাকা, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া থেকে ৬ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিল আদায় ১০ কোটি টাকা এবং সম্পত্তি হস্তান্তর বাবদ ২শ’ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছি।’ সরকারি অনুদান (থোক) হিসেবে ১৫০ কোটি টাকা সরকারি বিশেষ অনুদান বাবদ ৫০ কোটি টাকা এবং সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প থেকে প্রায় ১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মেয়র জানান। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন খাতে সর্বমোট ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওসমান গনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিওবি ও নিজস্ব অর্থায়নে ১৪০ কিলোমিটার সড়ক, ১৫৫ কিলোমিটার নর্দমা/পাইপ নর্দমা এবং ৭৫ কিলোমিটার ফুটপাত উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি ও কীটনাশক ক্রয় ও কচুরিপানা পরিস্কার করা হয়েছে। মেয়র জানান, গত অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৩৮৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিসবাউল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম সালেহ ভূইয়া প্রমুখ। এছাড়া ডিএনসিসি’র বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
এবার মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য ২১ কোটি টাকার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাজেটের ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য খাতগুলো হচ্ছে- বেতন, পারিশ্রমিক ও ভাতা ১৯০ কোটি টাকা, যা গতবছর ছিল ১৭৫ কোটি টাকা। জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুৎখাতে ৫৮ কোটি টাকা, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ৭৮ কোটি টাকা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, সরবরাহ ২২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ভাড়া রেটস্ ও কর বাবদ ১৩ কোটি টাকা, ফি বাবদ ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১