বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৯ July ২০১৮

রাজশাহী-বরিশালে বিএনপির প্রচারে ছিল না জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর লোগো ছবি: সংগৃহীত


রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ২০-দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়াই নির্বাচনী প্রচার শেষ করলেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। রাজশাহী ও বরিশালে জামায়াতকে বিএনপি পাশে না পাওয়ায় কিছুটা বিস্ময়ের সৃষ্টি হলেও মুখে ভিন্ন কথা বলছেন দল দুটির নেতারা। তারা আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ‘হামলা ও বাধাকে’ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে আওয়ামী লীগের নৌকার এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ধানের শীষের বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। নিজেদের মেয়র প্রার্থী না থাকলেও প্রচারের শুরু থেকেই বিএনপি প্রার্থী বুলবুলের সঙ্গে জামায়াতকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর ২৬ জুলাই থেকে তারা ‘মাঠে নামবে’ বলে রাজশাহীতে জানিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। কিন্তু এর পরও জামায়াতকে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আবদুস সামাদ বলেন, ‘জোট এখনো ভাঙেনি, আমরা জোটে আছি। ভোট আমরা জোটেই দেব।’ রাজশাহী মহানগর জামায়াতের মজলিসে শূরার সাবেক এই সদস্য অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের তো রাস্তায় নামারই গতি নাই।

কেউ বের হইলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করছে। রাজশাহী সিটি থেকে গ্রেফতার করে রাজশাহীতেও রাখছে না; পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ অন্যান্য জেলায় চালান করে দিচ্ছে।’ উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির অসুস্থ। নায়েবে আমিরসহ বেশ কয়েকজন নাশকতার মামলায় গ্রেফতার আছেন। আর সেক্রেটারি ও সহকারী সেক্রেটারিরা আত্মগোপনে আছেন। তাই এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি ও বুলবুলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, জামায়াত প্রচারণায় নামলে জঙ্গি-সন্ত্রাসী বলে প্রশাসন আরো বেশি হামলে পড়ত। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কারণে জামায়াত মাঠে নামতে পারেনি।

এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের প্রচারের শেষদিন গতকাল শনিবার পর্যন্ত ২০ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের সমর্থনে মাঠে ছিল না জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এক সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে ধানের শীষের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল।

অবশ্য স্থানীয় জামায়াত নেতাদের দাবি, গ্রেফতার আতঙ্কে ভোগার কারণে দলের কোনো নেতাকর্মী ধানের শীষের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার ও গণসংযোগে নামেনি। এ প্রসঙ্গে মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল জানান, কিছুদিন আগে বিএনপির প্রার্থী সরোয়ারের প্রচারণায় নামতে গেলে পুলিশ তাদের মহানগর যুগ্ম সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরউদ্দিন মোহাম্মদ বাবরকে গ্রেফতার করে। তার আগে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতকর্মী শামিম, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া অনেকের বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। জামায়াত নেতা হেলাল বলেন, ‘এসব কারণে আমাদের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সরোয়ারের সমর্থনে গণসংযোগ প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি।’

একই অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার এবং সরোয়ারের নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে বিএনপি নেতারা বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর পক্ষে জামায়াতের সমর্থন রয়েছে। ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান সরোয়ারের প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১