সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক চীনে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছে। এরই মধ্যে দেশটিতে কার্যালয় চালুর অনুমতিও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, চীনের হাংঝুতে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি চালু করবে ফেসবুক। গত সপ্তাহেই এর অনুমোদন মিলেছে। এর জন্য জমা দেওয়া কাগজপত্রে দেখা গেছে প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের।

তবে সম্ভাব্য জটিলতার আশঙ্কায় করপোরেট রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইট থেকে এ বিষয়ক সব তথ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি দেখা গেছে বলে জানিয়েছে নিয়ইয়র্ক টাইমস।

বর্তমানে চীনে ফেসবুক ব্যবহারের সুযোগ নেই। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দেশটিতে জনপ্রিয় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্লক করে রাখা হয়েছে। নিবন্ধন পাওয়ার পরও এ তথ্য নিয়ে যে লুকোচুরি করা হচ্ছে তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করা ফেসবুকের জন্য কিছুটা জটিল হবে।

তবে এ নিবন্ধন ব্যবহার করে আপাতত সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালুর কোনো সুযোগ পাচ্ছে না ফেসবুক। অ্যাপ এবং মেসেঞ্জার চালুর জন্য প্রতিষ্ঠানটির আলাদা নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে যা হবে এর থেকেও জটিল প্রক্রিয়া। দেশটির ব্যবহারকারীদের তথ্য কোথায় রাখা হবে সে বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আরো আলোচনা করতে হবে মার্ক জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠানকে।

ফেসবুকের মুখপাত্র ডেবি ফ্রস্ট নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, আপাতত সেখানকার ডেভেলপারদের নিয়ে কাজ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া স্থানীয় স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবকদের জন্য একটি ইনোভেশন হাব হিসেবে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। চীনের ঝেজিয়াং শহরে গড়ে তোলা হবে এ ইনোভেশন হাব। ফ্রান্স, ব্রাজিল, ভারত এবং কোরিয়ায় এ ধরনের কার্যক্রম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রস্ট।

উল্লেখ্য, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি সেখানে ফেসবুক, টুইটারসহ আরো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্লক করে রেখেছে। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে দেশটির নাগরিকদের প্রবেশ ঠেকাতে কয়েক ধাপের শক্তিশালী ইন্টারনেট ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে সেগুলোতেও কড়া নজরদারি করে সরকার।