আপডেট : ২৪ July ২০১৮
ব্যক্তিগত ৯৭ রানে সাজঘরে ফিরলেন সাকিব। আফসোসে পুড়লেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তখন নব্বইরে ঘরে ওপেনার তামিম ইকবালও। তবে সাকিবের মতো উঠিয়ে মারেননি। বুঝেশুনে রান নিয়েছেন। ফলে পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ১৩০ রানে অপরাজিত তিনি। বল খরচ করেছেন ১৬০টি। শুরু থেকে নেমে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন তিনি। ৪৮ রানের জয়ের ম্যাচে তিনিই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। তবে ১৩০ রানের ইনিংসটা তামিমসুলভ নয়। মানে বলের চেয়ে রানই বেশি থাকে তার। সেখানে উল্টোরূপে তামিমকে দেখা গেছে গায়ানায়। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মন্থর ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১৪৬ বলে সেঞ্চুরি, যা বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে ধীরগতির। সব মিলিয়ে বল খেলেছেন ১৬০, যা ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম ইনিংস। আগেরটি ছিল শাহরিয়ার নাফীসের, ১৬১ বল, ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে জয়পুরে। মন্থর হলেও তামিমের ইনিংসটা জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে। আর উইকেট বুঝে করতে হয়েছে ব্যাট। গায়ানার উইকেট ছিল কঠিনই। কখনো বল ধীরে এসেছে, কখনো জোরে। বিরূপ উইকেটে তাই দেখেশুনে খেলার বিকল্প ছিল না তামিমের সঙ্গে। দলীয় এক রানের মাথায় এনামুল হক বিজয় যখন শূন্য রানে সাজঘরে, দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ও সাকিব শম্বুক গতির ইনিংস খেললেও তা ছিল সময়োপযোগী ও কার্যকর। দুজনে তোলেন ২০৭ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানে অপরাজিত থাকলেও প্রতিটি রানের জন্য বেশ কষ্ট করতে হয়েছে তামিমের। মন্থর হলেও এই ইনিংসটা বিশেষ কিছু তার জন্য। ম্যাচ শেষে তা অকপটে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার, ‘দলের জয়ে যেকোনো ইনিংসই স্পেশাল। বিশেষ করে যখন আমরা ব্যাটিংয়ে নামি, উইকেট খুব সহজ ছিল না। শক্ত অবস্থানে যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ২৫ ওভার পর্যন্ত উইকেট খুবই কঠিন ছিল। বল টার্ন করছিল, পেসারদের জন্যও সহায়ক ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, স্কোর বোর্ডের দিকে না তাকিয়ে যত লম্বা ইনিংস খেলা যায়।’ সাকিবের যোগ্য সমর্থন, মুশফিকের খণ্ড ঝড়ো ইনিংস, সর্বোপরি মাশরাফির দুর্দান্ত নেতৃত্বে পঞ্চমমুখ তামিম ইকবাল, ‘সত্যি বলতে যে লক্ষ্য আমরা ঠিক করেছিলাম, মুশফিকের ক্যামিওটির সৌজন্যে আরো ১৫-২০ রান বেশি হয়েছে। মুশফিকের ইনিংসটি ছিল দারুণ। সাকিব অবিশ্বাস্য ভালো খেলেছে। আমি কষ্ট করে রান করেছি। বোলিংয়ে মাশরাফি ছিলেন দুর্দান্ত। এই উইকেটে যেটা দরকার ছিল। তার অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি সেটিই করেছেন। অধিনায়কত্বও ছিল নিখুঁত। বোলিং পরিবর্তনসহ যখন যেটা দরকার ছিল, সেটিই করতে পেরেছেন।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১