বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৮ July ২০১৮

ফরাসি বীরদের জন্য ‘লিজিয়ন অব অনার’

প্রিয় তারকাদের দেখার অপেক্ষার প্রহর যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছিল না ছবি : ইন্টারনেট


ফরাসি ফুটবলের সৌরভ জিতে নিয়েছে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি। তাই তো উৎসবে মেতেছে পুরো ফ্রান্স। শুধু কি ফ্রান্সেই সীমাবদ্ধ সেই উন্মাদনা? বিশ্ব ফুটবলের দ্বিতীয় ট্রফি জয়োল্লাসের সেই ঢেউ আছড়ে পড়েছে ফুটবল দুনিয়ার প্রতিটি প্রান্তে। যে উৎসবের শুরু মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়াম থেকে। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের প্রাথমিক উদযাপনটা যেন সেরে নিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা নিজেই। তার হাতেই যে লেখা ছিল ফ্রান্সের বিশ্বকাপ ভাগ্য। তাহলে তিনি তা উদযাপন না করে কি থাকতে পারেন? তাই হয়তো ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হতেই লুঝনিকিতে হঠাৎ দেখা মেলে বৃষ্টির। বিজয়ীদের ভিজিয়ে উপলক্ষটা উদযাপন করতেই হয়তো রহমতের বৃষ্টি উপহার দিয়েছেন স্বয়ং বিধাতা নিজেই। বৃষ্টি আর কনফেত্তির ঝড়ের মধ্যেই চলতে থাকে পল পগবা, আঁতোয়া গ্রিজম্যান ও কিলিয়ান এমবাপেদের সোনার ট্রফি নিয়ে হই-হুল্লোড়।

বিশ্ব ফুটবলের গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা নামতেই শিরোপা জয়ের উৎসবটা যেন পা রাখে ফ্রান্সের মাটিতে। সোনার ছেলেরা ঘরে ফেরার আগেই বিশ্বজয়ের আনন্দে আইফেল টাওয়ারে উৎসবে মেতে ওঠেন লাখো ফরাসি। প্রিয় তারকাদের দেখার অপেক্ষার প্রহর যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছিল না। শেষে প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দরে কোচ দিদিয়ের দেশমের নেতৃত্বে ফুটবলাররা পা রাখতেই হর্ষধ্বনি-চিৎকার-চেঁচামেচিতে স্বাগত জানান উচ্ছ্বসিত ভক্ত-সমর্থকরা। তার পরই চ্যাম্পস এলিসিস অ্যাভিনিউয়ে লাখো জনতার অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়ে ছাদখোলা বাসে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে এলিসি প্রাসাদের উদ্দেশে চলে ফ্রান্সের জাতীয় বীরদের শোভাযাত্রা। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ মস্কোতে একধাপ উৎসব করে দেশে এসেও মেতেছেন উদযাপনের আনন্দে। নিজের সরকারি বাসভবন এলিসি প্রাসাদে ম্যাখোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিত ফুটবলারদের জানিয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনা। এত কিছু করেও যেন মন ভরছে না ফরাসিদের। জাতীয় বীরদের আর কতভাবে সংবর্ধিত করা যায় তা নিয়েই এখন চলছে আলাপ-আলোচনা। আকাশ থেকে চাঁদ কিংবা সূর্য ফুটবলারদের জন্য আনা সম্ভব হলে তা হয়তো ঠিকই করতেন ফ্রান্সবাসী।

বিশ্বকাপ জয় তো আর কম কথা নয়। তা আবার বিশ বছর পর। ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারানোর পরই হাতে ধরা দিয়েছে ‘সোনার হরিণ’। ১৯৯৮ সালে গ্রেট জিনেদিন জিদানের হাত ধরে বিশ্বকাপ জয়ের পর ফ্রান্স পেল দ্বিতীয় বিশ্ব ফুটবল তারকাদের। তাই পুরস্কার হিসেবে দেশের ফুটবলের রূপকথার নায়কদের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক লিজিয়ন অব অনারে ভূষিত করবে ফ্রান্স সরকার। বিজয়ীর বেশে ফুটবলারদের এলিসি প্রাসাদ পরিদর্শনের আগেই প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর দফতর থেকে এমন ঘোষণাই এসেছে। তবে ব্যতিক্রমী সেবা মানে দেশের ফুটবলে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফুটবলারদের মাঝে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ পদক প্রদানের দিন-তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। ২০ বছর আগে অধিনায়ক দিদিয়ের দেশমের নেতৃত্বে বিশ্বজয় করে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকের কাছ থেকে লিজিয়ন অব অনার নিয়েছিলেন ফুটবলাররা। কোচ দেশম তো ফুটবলার হিসেবে লিজিয়ন অনার পদক পেয়ে বসে আছেন সেই ১৯৯৮ সালেই। এবার তার পদোন্নতি করে লিজিয়ন নাইট থেকে উঁচু গ্রেডের অফিসার র্যাঙ্কটাই দেওয়া হবে হয়তো দেশমকে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১